Cvoice24.com

জুলাই এলেই মনে পড়ে অভিভাবকদের

ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই

প্রকাশিত: ০০:১৮, ১১ জুলাই ২০২১
জুলাই এলেই মনে পড়ে অভিভাবকদের

৯ বছর ফুরিয়ে ১০ বছরে পড়েছে মিরসরাই ট্র্যাজেডি। নয় নয়টি বছর কাটলেও ক্ষতের মেঘ কাটেনি কারো পরিবারের। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শাকিব, নয়ন, উজ্জল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুব নাথদের পরিবারের খোঁজ রাখে না কেউ। স্কুল কর্তৃপক্ষ না রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেউই। জুন পেরিয়ে জুলাই এলেই তোড়জোড় শুরু হয় সবার।

এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো একজন জাহেদুল ইসলাম। পড়তো আবু তোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে। পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে ধুকে ধুকে বেঁচে আছেন বাবা মীর হোসেন। তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ জুলাই এলেই ডেকে নিয়ে যায়। সভা-সমাবেশ করে দুপুরের খাবার খাওয়ায় এতটুকু..। এরপর আর কেউ খোঁজ খবর রাখে না। 

নিহত ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেনের ভাই সোহরাব হোসেনেরও একই কথা। তিনি বলেন, জুলাই এলেই আমাদের ফোনে অথবা বাড়িতে দাওয়াত কার্ড দিয়ে যায়। জুলাইয়ের নির্দিষ্ট একটি দিন ছাড়া মনে হয় না কেউ বাড়ি এসে আমার মা বাবাকে সান্তনা দিয়েছে। শাখাওয়াতের কথা মনে পড়লেই মা ভেঙ্গে পড়েন। ছেলে হারানোর শোক কোন ভাবেই সইতে পারছেন না তিনি।

তবে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলছেন, মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে যারা মারা গেছে তাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রয়েছে তাদের। ১১ জুলাই বিশেষ আয়োজনে আমরা নিহত ছাত্রদের স্মরণ করি, অভিভাবকদের সহমর্মিতা জানাই। সারাবছর তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা থাকে আমাদের। অভিভাবকরাও স্কুলে আসেন।

এবার করোনার কারণে সভা-সমাবেশ করতে না পারলেও সীমিত আকারে কোরআনখানি, নিহতদের স্মরণে দোয়া এবং মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা করা হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়