Cvoice24.com

রাউজানে নিজে বলাৎকার করে সব দোষ শয়তানের ঘাড়ে!

রাউজান প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ৩১ আগস্ট ২০২২
রাউজানে নিজে বলাৎকার করে সব দোষ শয়তানের ঘাড়ে!

‘শইল্যে তো মানে না স্যার। শয়তানের ধোকায় পড়ছি, আমার কি করার আছে, কন!’ ১১ বছর বয়সী এক ছেলে শিশুকে বলাৎকারের চেষ্টা ও কামড়ে তার দুই স্তন রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত করার পর নিজের অপরাধকে জায়েজ করতে এমনই অদ্ভুত যুক্তি হাজির করে বলাৎকারকারী ষাটোর্ধ্ব জালাল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি তার। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন তিনি শ্রীঘরে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। এরপরেই শিশুটির মা মামলা করলে রাতভর চিরুনি অভিযানের পর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকার এক মাজার প্রাঙ্গন থেকে পলায়নরত অবস্থায় তাকে আটক করে পুলিশ। 

আটককৃত জালাল আহম্মদ (৬০) লোহাগাড়া উপজেলাধীন আমিরাবাদ সুন্নিয়াপাড়া এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র।

জানা যায়, মঙ্গলবার ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে মোবাইল ও টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায় জালাল। সেখানে জোরপূর্বক শিশুটির প্যান্ট খুলে পায়ুপথে বলাৎকারের চেষ্টার পাশাপাশি  তার বুকজোড়া কামড়ে রক্তাক্ত করে। এরপর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে তার মাকে বিস্তারিত খুলে বলে। শিশুটির মা বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে রাউজান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজু হবার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে।

গ্রেপ্তারকৃত জালাল আহম্মদের ব্যাপারে খোজখবর নিতে তার গ্রামের বাড়ির এলাকার (আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য মামুন উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি সিভয়েসকে জানান, ‘জালাল একজন দুশ্চরিত্র লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এর আগে একবার তাকে এই অপরাধে গণধোলাইও দেওয়া হয়। এলাকাবাসী তার উপযুক্ত শাস্তি চায়।’

এই ঘটনা ছাড়াও জালালের বিরুদ্ধে অতীতে শিশু বলাৎকারের আরও অভিযোগ গ্রামবাসীর কাছ থেকে তার কাছে এসেছে মর্মেও দাবি এই জনপ্রতিনিধির।

এ সংক্রান্তে সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম সিভয়েসকে বলেন, ‘নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও জালালের বিরুদ্ধে একের পর এক শিশু বলাৎকারের অভিযোগ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সে সম্ভবত বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত একজন মানুষ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’

অফিসার ইনচার্জ, রাউজান থানা আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘আটককৃত জালাল আহম্মদকে একজন অভ্যাসগত শিশু বলাৎকারকারী হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এর আগেও ২০১৫ সালের অনুরূপ এক শিশু বলাৎকারের ঘটনায় বেশ কয়েক মাস জেল খাটেন তিনি।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়