Cvoice24.com

‘যখন ইচ্ছে তখন’ জন্মসনদ দিবেন বড়মহেশখালীর ইউপি সচিব, কারণ জানা মানা

মহেশখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
‘যখন ইচ্ছে তখন’ জন্মসনদ দিবেন বড়মহেশখালীর ইউপি সচিব, কারণ জানা মানা

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমির দাশ।

একটি জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সনদ। জন্ম সনদের জন্য আবেদনের পর হাতে পেতে সময় লাগে সর্বচ্চ ১৫ দিন। অথচ এই জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে এক সেবা প্রার্থীকে। কেননা ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ‘যখন ইচ্ছে তখন’ জন্ম সনদ দিবেন!

জন্ম নিবন্ধন সেবা নিয়ে এভাবেই ভোগাচ্ছেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমির দাশ। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায়ও তার কার্যালয়ে সেবা নিতে গিয়ে  লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন খোকন নামের একজন। হেনস্তার পর লিখিত অভিযোগ নিয়ে তিনি দারস্থ হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।

ভুক্তভোগী খোকন বলেন, ‘এক মাস আগে আমার স্ত্রীর জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য আবেদন করি। আবেদনের পর টোকেন দিয়ে আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে তথ্য যাচাইবাছাই করার পর সব ঠিক আছে জানিয়ে ইউএনও অফিস থেকে সনদ নিয়ে নিতে বলা হয়। সেই টোকেন নিয়ে আজ এক সপ্তাহ ধরে ঘুরছি ইউপি সচিব সমির দাশের দ্বারে। কিন্তু পাইনি। আজ সচিবের কার্যালয়ে সনদটি নিতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এমনকি সনদটি দিবেননা বলে জানিয়ে দেন। এমন আচরণের পর আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

এদিকে বড়মহেশখালী ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, জন্ম নিবন্ধনের জন্য সচিবের কক্ষের সামনে লাইন ধরে বসে অপেক্ষা করছে সেবা প্রার্থীরা। অথচ অফিসের সময় হলেও সচিবের কক্ষ ছিলো বন্ধ। 

সচিবের কক্ষের সামনে অপেক্ষরত একজন সেবা প্রার্থী আরজু জানান, ‘আমি একমাস ধরে ঘুরছি জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য। কিন্তু আজকে সচিব আমার সাথে অশ্লীল ভাষায় মারমুখি আচরণ করেন।’ 

মহেশখালী কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করারও দুই মাস পর পেয়েছি। সেখানে কর্মরত সচিবের ব্যবহার মোটেও ভালো না।’ 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বড়মহেশখালী ইউপি সচিব সমির দাশ সিভয়েসকে জানান, অনলাইন সেবা বন্ধ রয়েছে তাই তিনি জন্ম সনদটি ১০ অক্টোবর সরবরাহ করবেন। 

এত দেরীর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আমার যখন ইচ্ছে তখন দিবো। আপনার সমস্যা কি!’

লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়