হালদার সমস্যা হলে ওয়াসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১২:২১, ৩০ অক্টোবর ২০২০
হালদার সমস্যা হলে ওয়াসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে হালদা নদী থেকে পানি সরবরাহ করতে গিয়ে যদি এ নদীর ক্ষতি হয় মৎস মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম। 

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে হালদা নদী থেকে পানি সরবরাহ করতে হালদা নদীর তীরে আরেকটি শোধনাগার করতে চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা। যার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আপত্তি এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণী সম্পাদমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেন, 'মানুষের বিশুদ্ধ পানি পানের অধিকার রয়েছে। কাজেই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা আমাদের দায়িত্ব। যদি দেখা যায়, সে পানি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে হালদার স্বাভাবিক অবস্থা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সেক্ষেত্রে নিশ্চয় আমরা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা আমরা নিব।'

তিনি আরও বলেন, 'হালদা নদীর ভূমিকা বিশাল। এবার সার্বোচ্চ ডিম আহরণ করা হয়েছে। যে সকল প্রতিকূলতা ছিল হালদা নদীর মাছের পোনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই প্রতিকূলতাকে আমরা ইতোমধ্যে মোকাবেলা করেছি। যেমন শিল্প কল-কারখানার বর্জ্য নির্গত না হয়, অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্মা বৃদ্ধি না পায়, নির্বিঘ্নে যাতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে, কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা দেখতে এসেছি। সেগুলো কার্যকর আছে কিনা। আমরা তা দেখে সন্তুষ্ট। জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংস্থা সকলে মিলে কাজ করছে। হালদা নদীর অতীতের যে ঐতিহ্যটা ছিল সেটা ইতোমধ্যে ফিরে এসেছে। ইনশাআল্লাহ হালদা নদীর অবস্থা আরও ভালো হবে।' 

এর আগে সকালে চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট থেকে তিনি স্পিড বোডে করে হালদার প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পানিপথ পরিদর্শন করেন। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম সর্তার ঘাট এলাকায় বিরতি দিয়ে স্থানীয় হালদা পাড়ের লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা লাভলী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহামুদ, ডিজি কাজী শামস আফোজ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির সোহাগ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, ইউপি চেয়ারম্যান (হাটহাজারী) সরওয়ার মোরশেদ, মোহাম্মাদ মাসুদ। এসময় মন্ত্রী হালদার মা মাছ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীদের সরকার কর্তৃক প্রনোদনা থেকে বাদ পড়াদের তালিকা করে করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের। এসময় মন্ত্রী হালদার নানা সমস্যার কথা খুব মনোযোগ সহকারে শুনেন।

রাউজান প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়