কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
সিভয়েস ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে কলেজছাত্রের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নাটোরের সেই কলেজ শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের প্রায় ৬ মাসের মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার ফ্ল্যাট থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষিকার স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে কলেজ শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গভীর রাতে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তার স্বামী কলেজছাত্র মামুন। তবে প্রতিবেশীরা জানান, রাত তিনটার দিকে মামুন প্রতিবেশীদের বাসায় গিয়ে দাবি করেন, তার স্ত্রী খাইরুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এসময় তারা ঘরে গিয়ে দেখতে পান খাইরুন নাহরের নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে শোয়ানো। এতে সন্দেহ হলে মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন তারা।
শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
-সিভয়েস/পিবি