Cvoice24.com

শীতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, চট্টগ্রামের হাসপাতালে ভিড়

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২৫, ৭ জানুয়ারি ২০২৩
শীতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, চট্টগ্রামের হাসপাতালে ভিড়

ঘড়ির কাঁটায় ঘুরতে ঘুরতে সকাল গড়িয়ে দুপুর। আবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল। অথচ দেখা নেই সূর্যের। আর তাতেই যেন জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঠান্ডা বাতাস। শেষ বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য হাজিরা দিতে আসে সূর্য। গত দুইদিন ধরে এমনই ছিল চট্টগ্রামের আবহাওয়ার চিত্র। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগও। আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। বিশেষ করে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। 

সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের প্রকোপে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। 

চমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতাল শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা শয্যার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। যাদের বেশিরভাগেরই বয়স এক দিন থেকে চার বছর পর্যন্ত। চলতি বছর শীতের আগে থেকে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এছাড়াও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নবজাতকদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াও দেখা দেয়। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম বলেন, গরমের সময় তেমন সমস্যা না হলেও শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নবজাতকদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য শীতকালীন রোগ বেশি দেখা দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শিশুদের যাতে ঠান্ডা না লাগে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। নিউমোনিয়া ছাড়াও এসময় শিশুদের হাঁপানি থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত গরম কাপড়সহ হাতমোজা, পা মোজা পরিয়ে রাখতে হবে।’

একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহসান সিভয়েসকে বলেন, ‘সাধারণত শীতে রোগীর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে কম থাকে। এই মূহুর্তে ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন হাজারের কম। তবে শিশু রোগী একটু বেশি আছে। বিশেষ করে শিশু রোগীরা জ্বর, সর্দি-কাশি, ডেঙ্গু আর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভর্তি হচ্ছেন।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়