Cvoice24.com

ভারতের মুসলমানদের নিয়ে জাতিসংঘে যা বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারতের মুসলমানদের নিয়ে জাতিসংঘে যা বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘে বক্তব্য রাখছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারতে ২০ কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, যা ইসলামোফোবিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট রূপ। মুসলিমরা বৈষম্যমূলক আইন ও নীতি, হিজাব নিষিদ্ধ, মসজিদে হামলার শিকার হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে ভারতের কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী সম্পর্কে উদ্বিগ্ন, যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ আহ্বান জানিয়েছে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

এসময় তিনি তার দেশের বন্যা থেকে শুরু করে ভারত, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, ইসলামোফোবিয়া ও কাশ্মির নিয়ে আলোচনা করেন। পাকিস্তানের সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে ভারী বন্যা নিয়ে বক্তব্য শুরু করে শেহবাজ ভারতের সঙ্গে শান্তির বিষয়েও কথা বলেন। 

শেহবাজ শরিফ বলেন, ইসলামোফোবিয়া এখন একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। ৯/১১’র পর থেকে মহামারি আকারে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়, তাদের সম্পর্কে সন্দেহ এবং তাদের প্রতি বৈষম্য বেড়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে। সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই। এটি রক্ষণশীলতা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা, অবিচার এবং অজ্ঞতা এবং স্বার্থান্বেষী স্বার্থের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  

এরপর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেও যা বলেছেন, সেই একই কথা আরও একবার বললেন শেহবাজ শরিফ। শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বড় শিকার। গত দুই দশকে আমরা সন্ত্রাসী হামলার কারণে ৮০ হাজার মানুষের জীবন ও ১৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছি। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার আধ ঘণ্টার ভাষণে শান্তি ও কাশ্মির সমস্যার সমাধানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতসহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তি চায়। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে কাশ্মির সমস্যা সমাধানের ওপর। 

তিনি বলেন, পাকিস্তানের জনগণ সব সময় আমাদের কাশ্মীরি ভাই-বোনদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের আওতায় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত তারা পাশে থাকবে। 

ভারতকে শেহবাজ শরিফ পরামর্শ দেন, ভারতের উচিত সততা দেখানো এবং ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট নেওয়া বেআইনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে শান্তি ও আলোচনার পথে হাঁটা। 

ভারত বহুবার পুনর্ব্যক্ত করেছে যে জম্মু ও কাশ্মির তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ অঞ্চল সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং তা থাকবে।
 
ভারত বলছে, সন্ত্রাস, সহিংসতা ও শত্রুতার আবহ থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। 


 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়