Cvoice24.com

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১৪, ২ অক্টোবর ২০২২
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে স্টেডিয়ামে দর্শকের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। 

শনিবার (১ অক্টোবর) দেশটির আরেমা ও পার্সেবায়া সুরাবায়ার মধ্যকার ফুটবল খেলা চলাকালীন পূর্ব জাভার প্রদেশের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৮০ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খবর বিবিসির।

জানা যায়, আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় আরেমাকে ৩–২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পেরসেবায়ার কাছে এই প্রথম কোনো ম্যাচে হারল আরেমা। দল হেরে যাওয়ায় হাজার হাজার আরেমা ভক্ত মাঠে নেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় মাঠে থাকা বেশ কয়েকজন আরেমার খেলোয়াড়ের ওপর হামলা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, কয়েক হাজার দর্শক একসঙ্গে স্টেডিয়ামে জোর করে ঢুকে পড়েন এবং পরস্পরের মধ্যে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে ভিড়ের মধ্যেই পদদলিত হয়ে অনেকে মারা যান।

এ ঘটনায় আরেমাকে বাকি মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লিগের সব ম্যাচ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন। এ ছাড়া ঘটনাটি যেন দেশের ‘সবশেষ ফুটবল ট্র্যাজেডি’ হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বলেছে, ম্যাচের সময় বা মাঠে ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণ গ্যাস’ নিক্ষেপ করা বা ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই) বলেছে, এই ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া এই ঘটনাটি ‘ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের মুখকে কলঙ্কিত করেছে’ বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

এর আগে ১৯৬৪ সালে লিমাতে পেরু-আর্জেন্টিনা অলিম্পিক বাছাইপর্বের ম্যাচের সময় পদদলিত হওয়ার ঘটনায় মোট ৩২০ জন নিহত এবং এক হাজার মানুষেরও বেশি আহত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৮৫ সালে, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে ৩৯ জন মারা যান এবং আরও ৬০০ জন আহত হন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়