Cvoice24.com

চীনে ফের করোনার ঢেউ, সপ্তাহে সাড়ে ৬ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ২৭ মে ২০২৩
চীনে ফের করোনার ঢেউ, সপ্তাহে সাড়ে ৬ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা

চীনে ফের দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। দেশটির বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আগামী জুনে সেখানে নতুন ধরন এক্সবিবিতে তীব্র সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতি সপ্তাহে আক্রান্ত হবেন সাড়ে ছয় কোটিরও বেশি মানুষ। তারা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টি ভাইরাল ওষুধ রাখতে হবে।

গেল ডিসেম্বরে আন্দোলনের মুখে করোনা সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় চীন সরকার। এর পর দেশটির প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে ইমিউনিটি সৃষ্টি হয়। তবে নতুন ধরন এক্সবিবি এই ইমিউনিটি ধ্বংস করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (২২ মে)  চীনের করোনা বিশেষজ্ঞ ঝং নানসেন জুন থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে এক তথ্যে জানিয়েছেন।

তিনি সাসসেপটিবল-এক্সপোসড ইনফেকসাস-রিকভার্ড মডেলের ওপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাশ করে আরও জানান, ‘কয়েকদিন পর সংক্রমণের নতুন যে ঢেউ দেখা যাবে সেটি মোকাবিলা করা খুবই কঠিন হবে।’

 জং বলেন, ইতোমধ্যে ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন (এক্সবিবি ১.৯.১, এক্সবিবি ১.৫ এবং এক্সবিবি ১.১৬) মোকাবিলায় চীনে দুটি নতুন ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে আরও চারটি।

২০২০ সালের ১১ মার্চ ডব্লিউএইচও করোনাকে মহামারি ঘোষণা করার পর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চীনসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ দীর্ঘ লকডাউন, সপ্তাহের পর সপ্তাহব্যাপী বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন, সামাজিক দূরত্ববিধি, বাধ্যতামূলক করোনা টেস্টসহ কঠোর সব বিধি জারি করেছিল। তবে ২০২১ সালের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রায় সব বিধি উঠিয়ে নিলেও চীন সে পথে হাঁটেনি।

বরং মহামারির প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দেশজুড়ে যাবতীয় কঠোর করোনাবিধি জারি রেখেছিল চীন। সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটির এ অবস্থান পরিচিতি পেয়েছিল জিরো কোভিড নীতি হিসেবে।

তার সুফলও অবশ্য পাওয়া যাচ্ছিল। মহামারির দুই বছরে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে— সেখানে চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই সময়সীমার মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ৩৩ হাজারের কিছু বেশি মানুষ এবং মৃত্যু ছিল এক হাজারের কিছু ওপরে।

কিন্তু প্রায় তিন বছর কঠোর করোনা বিধির মধ্যে থাকার জেরে অতিষ্ঠ চীনের সাধারণ জনগণ ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষদিকে করোনা বিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। জনগণের এই বিক্ষোভের পর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে এসে সব করোনাবিধি শিথিল করে দেয় দেশটির সরকার।

তারপর থেকেই দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লম্ফন দেখা যায়। ওই সময় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন, হাসপাতালগুলো করোনা রোগীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গিয়েছিল।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়