Cvoice24.com

চমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ২

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২০, ৩১ অক্টোবর ২০২১
চমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ২

বামে এনামুল হোসেন ওরফে সীমান্ত ও ডানে রক্তিম দে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন— রক্তিম দে (২১) ও এনামুল হোসেন ওরফে সীমান্ত (২১)। দুজনেই চমেক এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাতে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান। গ্রেপ্তার রক্তিম ওই মামলার ১১ নম্বর এবং এনামুল ১৫ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। তারা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। 

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ জোনের এসি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আকিবকে মারধরের ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি রক্তিম এবং এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবকে (২১) মারধরের ঘটনায় গতকাল (শনিবার) রাতে তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতে ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় এবং আজ শনিবার সকাল নয়টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই দফার সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন— মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) এবং আকিব হোসেন (২০)। এদের মধ্যে আকিব শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসন চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আর মাহফুজ ও নাইমুল ইসলাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এদিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিক্যাল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যায় আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

-সিভয়েস/এমএম

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়