Cvoice24.com

ঋণের টাকা পকেট পুরে নুরজাহান গ্রুপের দুই ভাইয়ের মাথায় পরোয়ানা

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঋণের টাকা পকেট পুরে নুরজাহান গ্রুপের দুই ভাইয়ের মাথায় পরোয়ানা

নুরজাহান গ্রুপের দুই কর্ণধারের বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা

সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ২৬৮ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি মামলায় নুরজাহান গ্রুপের দুই কর্ণধারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

দুই কর্ণধার হলেন—  চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমদ ও পরিচালক টিপু সুলতান।

অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ২০২০ সালে ২৬৮ কোটি টাকা ঋণ আদায়ে নুরজাহান গ্রুপের কর্ণধারদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে সাউথ ইস্ট ব্যাংক জুবলী রোড শাখা। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে আদালত বারবার সমন জারি করলেও, তারা হাজির হননি। তাই এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি  ৩২৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় নুরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমদ, পরিচালক টিপু সুলতান এবং ফরহাদ মনোয়ারকে ৫ মাসের আটকাদেশ দেন অর্থঋণ আদালত। এরও আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংকের ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ না করার মামলায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমদ রতনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন অর্থঋণ আদালতের বিচারক (যুগ্ম জেলা জাজ) মুজাহিদুর রহমান।

এক সময়ের চট্টগ্রামের ভোগপণ্যের বনেদি ব্যবসায়ীদের মধ্যে নুরজাহান গ্রুপ অন্যতম। ভোগ্যপণ্য ব্যবসায় বড় অংকের লোকসান, ঋণের টাকায় জমি কেনা ও কর্ণধারদের ভোগবিলাসের কারণে গ্রুপটির কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের বড় অংকের টাকা আটকে যায়। এই পর্যন্ত গ্রুপটির কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

মাররিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেড, নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেড, জাসমির ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডসহ গ্রুপটির কমপক্ষে ২০ টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু ব্যবসায়িক লোকসানে পড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে খেলাপি হয়ে গত পাঁচ-সাত বছরে গ্রুপটির বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

সিভয়েস/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়