ওয়ার্ড-ইউনিটে সদস্য সংগ্রহে যাচ্ছে নগর আওয়ামী লীগ
সিভয়েস প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড-ইউনিটে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি করোনা এবং সিটি নির্বাচনের কারণে বন্ধ হয়ে গেলেও তা আবার শুরু করতে যাচ্ছে দলটি। এর মাধ্যমেই মূলত সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন নেতারা। সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক ওয়ার্ডেই দলীয় নেতাকর্মীরা কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। নতুন করে কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সেই বিভক্তও কমাতে চান নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বিশেষত দিবস ভিত্তিক কর্মসূচিতে ওয়ার্ড-ইউনিট পর্যায়েও পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৬ মার্চ) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ৭ মার্চের কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তা পুনরায় শুরু করার জন্য তৃণমূলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দিবস ভিত্তিক কর্মসূচি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে থাকে সেটাও বলা হয়েছে।’
সাবেক মেয়র নাছির বলেন, ‘দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে; প্রতিদ্বন্দিতা থাকবে। কিন্তু তা যেন হিংসাত্মক ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা না হয়। গত সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ঘিরে যেসব ওয়ার্ডে নেতাদের মাছে বিভেদ ও মনমালিন্য হয়েছিল তা মিটিয়ে ফেলতে বলেছি। যাতে করে এই বিভেদ বিরোধ আর বেশি দূর পর্যন্ত না যায়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে।’
এদিকে বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ টানা একযুগ ধরে ক্ষমতায়। তাই দলে সুবিধালোভী, ভাসমান অস্তিত্ববিহীন কিছু মানুষের ভিড় বেড়েছে। এদের লক্ষ্য একটাই, পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে পদ হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের আখের গোছানো এবং নেতৃত্বের যোগ্যতাকে খাটো করে, অসম্মান করে কু-উদ্দেশ্যে নিজেকে যোগ্য হিসেবে জাহির করা।’
নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও একই বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সংকীর্ণতা ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। সাধারণ মানুষের মাঝে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে, যিনি ঝড়ঝাপ্টা সহ্য করতে পারেন, তাকে টেনে আনতে হবে। আমরা প্রায়ই নিজেকে প্রাধান্য দিই। কিন্তু অন্যের যোগ্যতা ও সক্ষমতাকে আমলে নিতে চাই না। এতে দলের ভিত্তি দুর্বল হয়।’
বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী, হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা।