Cvoice24.com

হেফাজত মহাসচিব নূরুল ইসলাম আর নেই

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪২, ২৯ নভেম্বর ২০২১
হেফাজত মহাসচিব নূরুল ইসলাম আর নেই

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। এর আগে শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগরের প্রচার সম্পাদক আ ন ম মওলানা আহমদুল্লাহ। তিনি জানান, আজ সোমবার বেলা ১২টায় হেফাজত মহাসচিব ইন্তেকাল করেছেন।

এর আগে, শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাগরিব নামাজের পর ওলামা মাশায়েকের একটি অনুষ্ঠান শেষ করে রাতে খিলগাঁওয়ের বাসায় ফেরার পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হেফাজত ইসলামের মহাসচিব নুর হোসাইন কাসেমী মারা যাওয়ার পর ২৩ ডিসেম্বর নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন হেফাজতের আমির ছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। গত ১৯ অগাস্ট তিনি মারা যাওয়ার পর এখন তার মামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন।

মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর পটিয়া থানাধীন কৈয়গ্রাম মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। ওই মাদরাসায় এক বছর শিক্ষকতার পর বাবুনগর মাদরাসায় আহুত হলে সেখানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হন।

এরপর বাবুনগর মাদরাসায় কয়েক বছর অধ্যাপনার পর ঢাকার আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদরাসায় ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। এ সময়ে তার বাবার মৃত্যুর পর তিনি নিজ বাড়িতে চলে যান ও পুনরায় বাবুনগর মাদরাসায় যোগদান করেন।

১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই তিনি ঢাকা জেলার অন্তর্গত খিলগাঁও-এ আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম প্রতিষ্ঠা করেন। অদ্যাবধি তিনি এই মাদরাসার মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। পাশাপাশি তিনি দারুল উলুম হাটহাজারীর মজলিসে শূরা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও আমেলার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

১৯৭৮ সালে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে তিনি “ইসলামী আন্দোলন পরিষদ” নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার করেছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় ছিদ্দিক আহমদের সাহচর্যে ছিলেন। কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলন ও খতমে নবুয়ত আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ’র মহাসচিব হন তিনি।

পরে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়