দাবি না মানলে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
সেশন জট নিরসনের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮
সেশন জট নিরসনের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা

সেশন জট নিরসনে তিন দফা দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা।

আজ (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেয়।

এতে উপস্থিত ছিল এই বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকদের অবহেলার কারণে রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হয় না। এছাড়াও ক্লাস রুম সংকটের কারণে সাতটি ব্যাচের পক্ষে দুটি রুমে ক্লাস করা সম্ভব না।

তারা বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়া স্বত্ত্বেও পরীক্ষার ফলাফল দিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করা হয় ফলে দিন দিন জট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বিভাগের দুই একজন শিক্ষকের খাতা দেখতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জট আরো ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করছে।

পরীক্ষার তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ, ক্লাস রুম বৃদ্ধি করা, এক বছরের মধ্যেই পরীক্ষা নেয়া ও নিয়মিত ক্লাসের দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষার্থীরা টানা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে শিক্ষকরা বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছে বলে জানায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

তারা সেশট জট নিরসন সহ শিক্ষকদের হুমকির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে ভাষা ও ভাষা বিজ্ঞান বিষয়টি ২০১২-২০১৩ সেশনে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যাচ স্নাতক সম্পন্ন করতে পারেনি। বর্তমানে মোট সাতটি ব্যাচ আছে।

২০১২-২০১৩ সেশন ২৪ মাস, ২০১৩-২০১৪ সেশন ১৮ মাস, ২০১৪-২০১৫ সেশন ১৩ মাস, ২০১৫-২০১৬ সেশন ১৩ মাস, ২০১৬-২০১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরা ৬ মাসের জটে আছে।

২০১২-২০১৩ সেশনের চতুর্থ বর্ষ ফাইনাল দেয়ার পাঁচ মাস পরও এখনো ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। ২০১৩-২০১৪ সেশনের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল নয় মাসেও প্রকাশিত হয়নি। ২০১৪-২০১৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল এক বছরেও প্রকাশিত হয়নি। এছাড়াও ২০১৫-২০১৬ সেশনের শিক্ষার্থীরা এক বছর নয় মাসেও দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারেনি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, আমরা একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। ক্লাসরুম সংকটের বিষয়টি আমরা দেখব।

 

 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়