ওয়াসার পানি খেয়ে বমি ডায়রিয়া
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
‘গত পরশু থেকে পানিতে মারাত্মক দুর্গন্ধ। প্রথমে গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু আস্তে আস্তে দেখি গন্ধ তীব্র আকার ধারণ করে। গতকাল থেকে আমার ডায়রিয়া আর বমি শুরু হয়। পরে একে একে পরিবারের সবার ডায়রিয়া আর বমি। আর বমির থামাথামি নাই।’
— চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি খেয়ে এমন দশার কথা জানাচ্ছিলেন নগরের চকবাজার পশ্চিম বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা জিন্নাত জাহান।
গত তিনদিন ধরে ওই এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে ময়লাযুক্ত দুর্গন্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। দুর্গন্ধযুক্ত এ পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে সেখানে।
এমনকি ওয়াসার সরবরাহকৃত দুর্গন্ধযুক্ত এসব পানিতে ফিটকিরি ব্যবহার করার পরেও খাবারের অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ার বাপের মসজিদের পাশে চাক্তাই খালের দিকে ওয়াসার সংস্কার কাজের সময় পাইপ ফেটে গিয়ে নালার পানি ওয়াসার লাইনে মিশেছে।
আরেক স্থানীয় ওয়াহিদ বলেন, ‘পরশু দুপুর থেকে পানিতে কেমন যেন গন্ধ লাগছে। মুখে নেওয়া যাচ্ছে না। নালার পানির মতো গন্ধ। প্রথমে ভেবেছিলাম আমাদের লাইনে বুঝি সমস্যা। এরপর দেখি সবারই একই অবস্থা।’
একই বিষয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী সাইদ সবুজ বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে পানির এই বাজে অবস্থা। আগে পানি মিনারেল ওয়াটারের মতো ছিল। এই পানি খাওয়ার পর থেকে আমার ভাগিনা আহনাফ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিকেল থেকে টানা বমি আর ডায়রিয়া তার। স্যালাইন খাওয়ানো হয়েছে, ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে তাও তার বমি বন্ধ হয় না। রাত আড়াইটা পর্যন্ত বমি হয়েছে। পরে ডাক্তারের পরামর্শে ইনজেকশন দেওয়ার পরে বমি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু এখনো ডায়রিয়া সারেনি।'
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ এখনো পর্যন্ত আসেনি। আপনার কাছ থেকেই জানলাম এখন। বিষয়টা খবর নিয়ে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’