জীবিত শিশু নিয়ে মৃত শিশু দেয়ার দায় স্বীকার করেছে চাইল্ড কেয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৮ মে ২০১৮
জীবিত শিশু নিয়ে মৃত শিশু দেয়ার দায় স্বীকার করেছে চাইল্ড কেয়ার

ছবি : সিভয়েস

অবশেষে জীবিত শিশু নিয়ে মৃত শিশু দেয়ার দায় স্বীকার করেছে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ। তারা জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথাও স্বীকার করেন। তবে শিশুটির পরিবার মামলা করবে বলে জানা যায়।

সোমবার (৭ মে) লিখিতভাবে শোকজের জবাব দেয় চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ। শোকজে তারা জীবিত মেয়ে শিশু চুরি করে মৃত ছেলে শিশু দেওয়া এবং জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা চেয়েছে। এ বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক।

এর আগে ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টায় নোয়াখালী থেকে আসা রোকসানা আকতারের (২১) নবজাতক কন্যা শিশুকে রেখে অপর একটি ছেলে শিশুর মরদেহ দেওয়া হয়। পরে জানাযার জন্য গোসল করানোর সময় মূল ঘটনা ফাঁস হয়। এরপর তারা রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় আসেন। তারপর  থানার হস্তক্ষেপে বুধবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে শিশুর মরদেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসল কন্যা সন্তান ফেরত দিতে বাধ্য হয় চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ। এরপর বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হকের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন। এরপর গঠন করা তদন্ত কমিটি ২৩ এপ্রিল বিকেলে ৫টায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা করেন। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত নেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ ঘটনার পুনঃতদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। এরপর চাইল্ডকেয়ার কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার জবাব দিতে ২৬ এপ্রিল শোকজ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক সিভয়েসকে বলেন, শোকজে চাইল্ড কেয়ার জীবিত কন্যা শিশু চুরি করে মৃত ছেলে শিশু দেওয়ার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনার জন্য তারা ক্ষমা প্রার্থনাও চেয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন কাজে জড়িত হবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা আমরা ভেবে দেখছি। তবে ভুক্তভোগী চাইলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করতে পারে।

শিশুটির চাচা আলমগীর হোসেন হিরু সিভয়েসকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি ঘটনাটি স্বীকার করে থাকে, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।

-সিভয়েস/কেএম/এমআইএম

9

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়