চসিকের প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতি খুঁজতে মাঠে নামছে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৩১ আগস্ট ২০২২
চসিকের প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতি খুঁজতে মাঠে নামছে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ ভুড়িভুড়ি। এবার সেইসব অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে মাঠে নামছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতির হদিস খুঁজতেই সেই তদন্ত কমিটির সভাপতি দুই দিনের সরেজমিন তদন্তে চট্টগ্রামে আসছেন।  

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিদর্শন-১ এর পরিচালক মো মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির সভাপতি নুমেরী জামান আগামী ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে আটটা থেকে তদন্ত কার্যক্রম চালাবেন। তদন্তকালে সংশ্লিষ্ট সকলকে তথ্যপ্রমাণসহ উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চসিকের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন মো. জামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ।

অভিযোগে আরও জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের ছেলে আদনান রফিকের রয়েছে মেসার্স মিয়াজি কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ছয় বছরে সিটি করপোরেশনের প্রায় ১৯ কোটি টাকার কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে সরকারি চাকরিজীবী বাবার প্রতিষ্ঠানে ছেলের ঠিকাদারি করার বিষয়টিকে বিধি ভঙ্গ ও স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আদনান রফিকের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ঠিকাদারি করছে। নথিপত্র অনুযায়ী, আদনান রফিকের বর্তমান বয়স প্রায় ২৭ বছর। অর্থাৎ ২১ বছর বয়স থেকে ঠিকাদারি ব্যবসা করছেন তিনি।

২০১৯ সালে তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী) রফিকুল ইসলাম মেসার্স মিয়াজি কনস্ট্রাকশনকে একটি প্রত্যয়নপত্র দেন। এতে বলা হয়, মেসার্স মিয়াজি কনস্ট্রাকশন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে ছয়টি উন্নয়নকাজ সন্তোষজনকভাবে শেষ করেছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

ওই প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী, মেসার্স মিয়াজি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আমানত উল্লাহ শাহ পাড়া সড়কের উন্নয়নকাজ করে। এরপর ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে আকবর শাহ সোসাইটি রোড, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খুলশীর আবাসিক এলাকার বাই লেনের উন্নয়নে ৪ কোটি ৭ লাখ টাকার কাজ, ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মিঞা ছড়ার প্রতিরোধ দেয়ালের নির্মাণকাজ, ৭৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী আবাসিক এলাকায় নালার কাজ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইগল স্টার সড়কের উন্নয়নে সাড়ে ৪ কোটি টাকার কাজ করে।

যদিও চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়