Cvoice24.com

বান্দরবানে ডায়রিয়ায় ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত অর্ধশতাধিক

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ১৫ জুন ২০২২
বান্দরবানে ডায়রিয়ায় ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত অর্ধশতাধিক

বান্দরবানের ম্যাপ।

বান্দরবানের থানছি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দুর্গম দশটি পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দিন দিন ডায়রিয়ার পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গত সাতদিনে (৯ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত) ডায়রিয়ায় শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত এলাকায় থানচি মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।

মৃত আটজন হলেন— রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেন থাং পাড়ার কার্বারী মেনথাং ম্রো (৪৯), নারিচা পাড়ার বাসিন্দা লংঞী ম্রো (৪৫), ইয়ং নং পাড়ার বাসিন্দা ক্রাইয়ং ম্রো (৬০), ক্রায়ক ম্রো (১৮), রয়ং ম্রো (৪৮), সিংচং পাড়ার বাসিন্দা প্রেণময় ম্রো (১১), সংওয়ে ম্রো (৫০) ও প্রেণময় ম্রো (৪০)।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের দুর্গম অনেকগুলো পাড়ায় প্রচণ্ড গরমে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট, পাহাড়ি ঝিরি-ঝর্নার দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়া প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। রেমাক্রী ইউনিয়নে দুর্গম মেন থাং পাড়া, নারিচা পাড়া, ইয়ং নং পাড়া ও সিং চং পাড়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওষুধ ও খাবার স্যালাইনের অভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তারা।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হাবিবা জান্নাতুল তুলি জানান, বর্ষাকালে ঝিরি-ঝরনার ঘোলা পানি (যেখানে তারা গোসল করছে) পান করছে পাহাড়ের অনেকে। তাই তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে রেমাক্রীর আন্দারমানিক দুর্গম এলাকা থেকে রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে সময় লাগে, তাদের কোনো ধরনের রোগ হলে গুরুত্ব দেয় না। তবে ১০ জনের একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়