ফটিকছড়িতে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

ফটিকছড়ি কাঞ্চননগরের ঝরঝরি এলাকায় আলমগীর (৩৫) নামে এক যুবককে খুনের কথা স্বীকার করেছে তার ছোট ভাই রাশেদ। বুধবার (১৬ জুন) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করে সে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

ফটিকছড়ি থানা পুলিশ জানায়, আপন ছোট ভাই রাশেল ঘটনার দিন রাতে বড় ভাই আলমগীরকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নাটক সাজাতে উদ্ধারকারী অন্যান্যদের সাথে হাসপাতালেও যায় ঘাতক রাশেল। ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে আলমগীরের পিতা বাহাদুর সর্দার, স্ত্রী সজিনা, ছোট ভাই রাশেল ও ভগ্নিপতি শাহ আলমকে আটক করে পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের ছেড়ে দিলেও সন্দেহজনক হওয়ায় ছোট ভাই রাশেদকে নজরে রাখেন পুলিশ।

গতকাল বুধবার (১৬ জুন) রাতে রাশেদকে পুনারায় থানায় এনে পুলিশ কৌশল পাল্টিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে রাশেল আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করে সে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি গ্রহণের জন্য ঘাতক রাশেলকে চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয় জানায় পুলিশ।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কাঞ্চননগরের আলমগীর ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য ছোট ভাই রাশেলকে আদলাতে পাঠানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন (সোমবার) রাতে কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঝরঝরি এলাকার বাহাদুর সর্দারের বাড়িতে আলমগীর (৩৫) নামে এক যুবককে খুপিয়ে জখম করলে স্থানীয়রা উদ্ধার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে নিহতের পিতা মোহাম্মদ ইদ্রিস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১১ দিন পর পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে।