‌'কালুরঘাট সেতু নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন, বাদলের অভিমান সমীচীন নয়' 

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ৫ অক্টোবর ২০১৯
‌'কালুরঘাট সেতু নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন, বাদলের অভিমান সমীচীন নয়' 

ছবি: সিভয়েস

কালুরঘাট সেতু না হওয়ার কারণে বোয়ালখালী আসনের সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদল আগামী ডিসেম্বরে সংসদকে সালাম জানিয়ে বের হয়ে যাওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন তা মোটেই সমীচীন নয় বলে মনে করেন নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ। 

আজ শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস এম রহমান হলে কালুরঘাট বহুমুখী নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

লিখিত বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, বাদল সাহেব বোয়ালখালী আসনে মহাজোটের সাংসদ, তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায়। তাই তার রাগ অভিমান, অক্ষেপ করা মোটেই সমীচীন নয়। কারণ তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী ইশতেহারেও কালুরঘাট সেতু করার ওয়াদা করেছেন। তাই জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আক্ষেপ করে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল। তাই সহসা নতুন সেতু নির্মাণে  যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য বাদল সাহেবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কালুরঘাট সেতুটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। একমুখী হওয়ার কারণে ১-৩ ঘন্টা হয় এ সেতু দিয়ে পারাপার হতে, এতে করেও একদিকে সময় ক্ষেপণ হচ্ছে অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। 

এছাড়া আসা যাওয়ার পথে নিত্যদিন দুর্ঘটনা হচ্ছে। অনেক মানুষ জ্যামে আটকে ভোগান্তিতে পড়ছে। তাই দীর্ঘদিনের দাবি এ সেতুটি যেন দ্রুত নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়া হয়। 

নগরীতে এখন আর শিল্প কল-কারখানা গড়ে তোলার পরিবেশ নেই। এখন কিছু শিল্প কারখানা বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা ইউনিয়েন বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। এছাড়াও এ উপজেলা শিল্প কারখানা গড়ে তোলার যথেষ্ট পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এসব শিল্প কারখানার কাঁচামাল সরবরাহ আনা নেওয়ার জন্যও সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এলাকার জনসাধারণ, শিল্প কল-কারখানার স্বার্থে কালুরঘাট নতুন বহুমুখী সেতু অত্যন্ত প্রয়োজন। 

গত ২০০১ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ঘোষণা করেছিল। তারপরও এ সেতুতে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সেতুর বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি গাছের তৈরি বেশ কিছু সাইড চ্যানেল নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ  সেতুটি ঝুঁকিতে থাকলেও সরকার এখনো এটা নির্মাণে স্পষ্ট কোন ঘোষণা দেয়নি। তাই আমরা এ সেতুটি নির্মাণে কালক্ষেপণ না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

সংবাদ সম্মেলনে বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি নগর বিএনপি নেতা এম এ হাশেম রাজু,  মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আর ইউ চৌধুরী শাহিন, চান্দগাঁও থানা বিএনপি’র সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, বোয়ালখালী থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক শওকত উল আলম, চান্দগাঁও থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন খান, চান্দগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহরা ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম ফিরোজ খান, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সহসভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলমগীর, আবুল হাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান,  মোহাম্মদ জাকির হোসেন, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, নগর যুবদল নেতা জাফর আহমেদ, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

সিভয়েস/ইএ/আই
 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়