অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস, চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১২, ৫ মার্চ ২০২২
অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস, চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের ৫৩৭ তম সভায় ফারসি বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিল করা হয়।

শনিবার (৫ মার্চ) চারুকলা ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান।

এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের তিনটি অডিও প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় আমরা রবীনকে উপচার্যের পিএস থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা করেছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধী কাউকে প্রশাসন ছাড় দেবে না।'

ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘অভিযোগ উঠার সঙ্গে সঙ্গে আজকের সিন্ডিকেট স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, এবং সততার স্বার্থে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরুপে বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী মূল হোতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।'

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টরবৃন্দরা।

এর আগে গত ৩ মার্চ ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির পদে ১২ লাখ, চতুর্থ শ্রেণি পদে ৮ লাখ, অফিসার পদে ১৫ লাখ ও শিক্ষক নিয়োগে ১৬ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হয় বলে উঠে আসে।

এরমধ্যে একটি কল রেকর্ডে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। ফাঁস হওয়া সেই ফোনালাপে একজন আবেদনকারীকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে বলতে শোনা গেছে। বাকি দুইটিতে উপাচার্যের ভাতিজা ও এক বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার এক কর্মচারীরও আর্থিক লেনদেনের নানা বিষয়ে কথোপকথন শোনা যায়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার উপাচার্যের একান্ত সহকারী পদ থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা হয়।

এছাড়া ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে সিলেকশন বোর্ডে বিভাগসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ শিক্ষক না রাখা, আবেদনের সময়স্বল্পতা, আবেদন করেও মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীরা ডাক না পাওয়া, উচ্চ আদালতের রুল নিষ্পত্তি না করেই নিয়োগপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ নানা অভিযোগ উঠে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়