Cvoice24.com

বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে রাজ পরীর সংসার?

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ৪ জুন ২০২৩
বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে রাজ পরীর সংসার?

আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজের দাম্পত্যজীবন ভালো যাচ্ছে না। একের পর এক নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে তারা।

সবশেষ গেল ২৯ মে রাজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ছবি ও ভিডিও ক্লিপস ফাঁস হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় নতুন আলোচনা। প্রশ্ন ওঠে তাদের বৈবাহিক জীবনের বিচ্ছেদ নিয়ে। পরীমণি জানিয়েছেন- যদি বিচ্ছেদ হয় তাহলে তাদের সন্তান রাজ্য পরীর কাছেই থাকবে।

নিজেদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি পরী দেশের একটি গণমাধ্যমে খোলাখুলি বক্তব্য দেন। যেখানে তার বক্তব্যে ফুটে উঠে বিচ্ছেদ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরীর বক্তব্যের শুরুতেই রাজের বাসা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিকল্পিত। এছাড়া রাজ তার সঙ্গে আর থাকতে চায় না।

এ বিষয়ে পরী বলেন, ২০ মে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে রাজ। এরপর থেকে সে বাসায়ও ফেরেনি, ফোনটাও ধরে না আর। এরপর সেলিম ভাই ও তার বউ তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। সম্ভবত, এটি গত ২০ মের ঘটনা। আসার আগে সেলিম ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, আমি রাজকে সঙ্গে করে নিয়ে তোমার বাসায় আসছি। এসে বলেন, ‘রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তা করতে পারো। ’ আমি বললাম, ‘ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তাহলে ওই আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাব। ’ 

পরে সেলিম ভাই বললেন, ‘যদি তোমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তাহলে বাচ্চাকে দেখভাল করতে কীভাবে কী করবে, চিন্তাভাবনা করে দেখো। ’ এরপর আমি বললাম, ‘বাচ্চা আমার কাছেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদ হওয়ার পর অবশ্যই সে বাচ্চা দেখতে আসতে পারবে। তবে শর্ত, সে অস্বাভাবিক সময় বাসায় আসলে বাচ্চাকে দেখতে দেব না। যদি রাত চারটায় আসে, ভোরবেলায় আসে, তাহলে তো বাচ্চা দেখতে দেওয়ার সুযোগই নাই। স্বাভাবিক, সঠিক সময়ে এসে সে বাচ্চা দেখতেই পারে। কোনো সমস্যা নাই। ’- যোগ করেন পরীমণি।

এরপর নিজেদের বিচ্ছেদের বিষয় এই অভিনেত্রী বলেন, ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গেছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে। আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরিফুল রাজ আমার জামাই। একটা মানুষ চলে গেলে তো আর ধরে রাখা যায় না।

পরী আরো বলেন, রাজ এখন বলে কী, ‘আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিকঠিক বিয়েই হয়নি। ’ যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে। আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না।

অন্যদিকে রাজ বলছেন উল্টো কথা। ‘বিচ্ছেদ’ এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ পরীমণির ওপর চাপিয়ে দিয়ে জানান, ‘পরী থাকতে চাইলে থাকবে, না চাইলে বিচ্ছেদ।’
রাজ জানান, পরীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হবে কিনা-এই বিষয়ে তার চেয়ে ভালো জানেন চয়নিকা চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সাংবাদিকদের তাদের সঙ্গেই কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরীর সঙ্গে সম্পর্ক কোন পর্যায়ে বা টিকবে কিনা তা বলতে পারবেন চয়নিকা চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম।’
তবে বিচ্ছেদ ঘটবে কি না, সেটা পরীর উপরেই নির্ভর করবে বলেও জানান এই অভিনেতা। এক্ষেত্রে পরীমণি যেটা চাইবেন সেটাই হবে।

রাজ বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্তের চেয়ে পরীর সিদ্ধান্ত জানাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরীমণি কী চায়, সেটা জানা দরকার। পরী যেটা চাইবে, সেটিই চূড়ান্ত। থাকতে চাইলে থাকবে, না চাইলে বিচ্ছেদ।’

রাজের কথায় স্পষ্ট, পরীমণির সঙ্গে সামনের দিনে একই ছাদের নিচে থাকবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে এই নায়িকার সিদ্ধান্তের উপরেই। 
এছাড়াও চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে অস্বাভাবিক দাম্পত্যজীবনের জন্য তৃতীয় পক্ষকে দায়ী করেছেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঙ্গে দীর্ঘসময়ের ফোনালাপে এমন অভিযোগই করেছেন রাজ। জয়ের কাছে রাজ আরো জানান, পরীর অপরিণত সব কাজের পেছনে ওর কোনো হাত নেই। ওর আশপাশের মানুষ ইন্ধন জোগানোর পরই এমন করেন পরী।

ব্যক্তিগত জীবন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হলে তা আর ব্যক্তিগত থাকে না, হয়ে যায় পাবলিক পপার্টি। কেন ঘরের সব ইস্যু বারবার বাইরে চলে আসে? জয়ের এমন প্রশ্নে রাজ বলেন, আমার সংসারে কী হচ্ছে, আমি নিজেই জানি না। মিডিয়ার খবরে প্রকাশিত সংবাদ আর সামাজিকমাধ্যম থেকে আমি আমার সংসারের খবর জানি।

এ জন্য পরীকে অবশ্য দায়ী করেননি রাজ। দায়ী করেছেন পরীর আশপাশের মানুষকে। রাজ বলেন, আমি সারা জীবন পরীর সঙ্গে সংসার করতে চাই। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের জন্য তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।

উল্লেখ্য, মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে  ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা। একই দিন সন্তান ধারণের বার্তাটিও দেন এ দম্পতি। এরপর সে বছরের ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন। আর ওই বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়