পিতা-পুত্রের শেষ সাক্ষাৎ

প্রকাশিত: ১২:৫০, ১৮ মার্চ ২০১৯
পিতা-পুত্রের শেষ সাক্ষাৎ

১৮ই মার্চ এ তারিখটি আমার কাছে সবসময়ই একটি বাড়টি আবেদন রাখে। ২০১২ সালের এদিনে, ক্লাস সেরে আব্বার সাথে দেখা করতে যাই চট্রগ্রামস্থ রেড ক্রিসেন্ট অফিসে। আব্বা আমাকে চা,সমুচা খাওয়ালেন। আব্বা কথা বলছিলেন আমার পড়াশুনার ব্যাপারে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পারফরমেন্স নিয়ে,আরো নানান বিষয়ে।

সাধারণত, আব্বার সাথে দেখা করতে গেলে কখনোই পাঁচ/দশ মিনিটের বেশি থাকতামনা আর সেটি উনার ব্যস্ততার কারনেই। কিন্তু ঐ দিন কিভাবে জানি সুযোগ পেলাম আর অনেক্ষন ধরে গল্প করলাম। হয়তো আমাদের অবচেতন মন বুজতে পেরিছিলো এটাই শেষ, অশ্রুস্নাত, ভয়াল ১০ই এপ্রিল সামনে আসছে।

কথাবার্তা শেষে, যখনি অফিস থেকে বের হবো, আব্বা পিছন থেকে আমাকে ডাকলেন আর কিছু একটা হেসে বললেন। আমিও আব্বার দিকে ফিরে তাকালাম আর হেসে কিছু একটা বলে অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম। 
এইতো! আর কথা হলোনা পিতা-পুত্রের!

আর প্রিয় আব্বার সাথে শেষ দেখা হলো পারিবারিক জীবনের সবচেয়ে বড় বিপর্যের দিনে সেদিন শুধু চেয়েই গেলাম, কিন্তু কথা বলতে পারলাম না। কারণ, আব্বা আর বেঁচে নেই।প্রকৃতপক্ষে সন্তান হিসেবে আমরা আব্বাকে খুব কমই কাছে পেয়েছি। নতুবা মৃত্যুর ২২ দিন আগে কেন শেষ দেখা বা কথা হবে!
না আব্বা! এতে আপনার উপর আমাদের কোনো রাগ নাই। শুধু চির আক্ষেপ রইলো আপনাকে আরো কিছুদিন আব্বা না ডাকতে পারার।

হে আল্লাহ্ আপনি আমার আব্বাকে জান্নাত দান করুন। আমিন।

মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি রিয়াজ বিন আলী’র ফেসবুক টাইম লাইন থেকে

সিভয়েস/এএস

 

 

রিয়াজ বিন আলী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়