করোনার দ্বিতীয় ডোজ ৭ এপ্রিল
সিভয়েস ডেস্ক
করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসে ৫০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও পেয়েছি ২০ লাখ। অর্থাৎ এখানে একটি ঘাটতি হয়ে গেল। এ বিষয়ে আমরা সেরামের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছি। এখানকার যারা সাপ্লাইয়ার, তাদের ওপরেও আমরা চাপ প্রয়োগ করেছি যে আপনারা এটা তাড়াতাড়ি মেকআপ করেন। এ পর্যন্ত ২৪ লাখের বেশি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং নিবন্ধন করেছে ৩৬ লাখ। ’
তিনি বলেন, ‘সেরাম ইনস্টিটিউটও চাপের মধ্যে আছে, ভারত সরকার এবং বিশ্বজুড়ে চাপ আছে। এ ভ্যাকসিনটি বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে ও চাহিদা রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে এখন থেকে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছি।’
দেশে নতুন কিছু সাপ্লাইয়ার আবেদন করেছে জানিয়ে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘সে বিষয়েও আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি, বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সামনে যতটুকু সরবরাহ হবে সেটার ওপরই আমাদের কার্যক্রম নির্ভর করবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩ লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। দেশে সোমবার পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৩ লাখ ৮ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন পুরুষ এবং ৭ হাজার ৮৯ হাজার ৪৪২ জন নারী রয়েছেন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৩ লাখ ৬ হাজার ১৮৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ২২ হাজার ৪৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৩২ জন, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৫ জন, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১ লাখ ১২ হাজার ১৬৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৪ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন মোট ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।