Cvoice24.com

বাংলাদেশে ভারতীয় টিকা আসা নিয়ে সুখবর

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৮, ১৬ মে ২০২১
বাংলাদেশে ভারতীয় টিকা আসা নিয়ে সুখবর

প্রতিবেশী দেশে টিকা রপ্তানি চালু রাখার পক্ষে দিল্লি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে বাংলাদেশেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিকাকরণে জোর দেওয়ার পরামর্শ ছিল বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু ভারত থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় দেশকে। এরপরেই টিকা সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটাতে ভারত সরকারকে চিঠি দেয় সরকার। কিন্তু এখনই টিকা রপ্তানি সম্ভব নয়, ফিরতি চিঠিতে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিল ভারত।

এমন পরিস্থিতিতে টিকা আনতে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে হাত বাড়ায় বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে চীন থেকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ ডোজ পাঠানোও হয়েছে। এখন আবার সুখবর দিয়েছে ভারতও। দেশে ভয়াবহ সঙ্কট থাকলেও কূটনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে প্রতিবেশী দেশে টিকা রপ্তানির পক্ষে সায় দিয়েছে দিল্লি।  

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোগান না থাকায় তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরুই হয়নি একাধিক রাজ্যে। তাতে তীব্র সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার প্রকোপে গোটা দেশ যখন বিপন্ন, সেই সময় বিদেশ বিভুঁইয়ে থরে থরে সাজিয়ে টিকা পাঠানো হল কেন, তা নিয়ে লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। 

সমালোচনার মুখে কিছুটা পিছু হটলেও, প্রতিবেশী দেশগুলোতে আগামী দিনেও টিকা পাঠাতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র। কূটনৈতিকভাবে উপমহাদেশে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার এছাড়া কোনো উপায় নেই বলে দিল্লিসূত্রে খবর।

এই মুহূর্তে ভারতের যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেগুলো হল- বাংলাদেশ, নেপাল ও মলদ্বীপ। এর মধ্যে নেপাল ও মলদ্বীপে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। মলদ্বীপে এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। ফলে রাজধানী মালেতে কার্ফুও জারি হয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে নেপালে। সেখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারেই ভেঙে পড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে এই দেশগুলোতে টিকাকরণ বাড়ানোকেই প্রাধান্য দিচ্ছে দিল্লি। তাদের মতে, ভারতীয় উপমহাদেশে বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিপদে-আপদে প্রতিবেশীদের পাশে থাকা জরুরি। তাই পরিমাণে কম হলেও, টিকা রপ্তানি চলবে।

ভারতে কোভিশিল্ড (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকা) উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি টিকা আমদানির জন্য চুক্তি করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। তারা দেড় কোটি টিকার আগাম মূল্যও পরিশোধ করে রেখেছে। 

চুক্তি অনুসারে, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু চুক্তি সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারির পর থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত। দেশটির এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। কারণ ভারতকে বিশ্বাস করে টিকার জন্য এতদিন অন্য কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি করেনি সরকার। 

গত সপ্তাহে ভারতের কাছ থেকে অনেকটা নেতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাশিয়া ও চীনের টিকা অনুমোদন করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর মধ্যে রাশিয়া বাংলাদেশে সরাসরি টিকা (স্পুতনিক ভি) রপ্তানির পাশাপাশি উৎপাদনের জন্য শর্তসাপেক্ষে অনুমতিও দেবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়