Cvoice24.com

বেসরকারি ৬ মেডিকেল কলেজকে করোনা চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে এক সপ্তাহের সময়

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৬ জুলাই ২০২১
বেসরকারি ৬ মেডিকেল কলেজকে করোনা চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে এক সপ্তাহের সময়

চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি প্রায় সকল হাসপাতালেই এখন করোনা রোগীতে টইটুম্বর। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। শয্যা খালি না থাকায় ইতোমধ্যে সংকটাপন্ন রোগীরাও ঘুরছেন হাসপাতালে হাসপাতালে।  যা এক প্রকার দুশ্চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনকেও। 

এমন বাস্তবতায় রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে

চট্টগ্রামের বেসরকারি ৬ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কভিড ডেডিকেটেড শয্যাসহ সুবিধা বাড়াতে বলেছে প্রশাসন। 

সোমবার বিকেল ৩ টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসানের সভাপত্বিতে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান, পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা হাসান শাহরিয়ার কবির, 

জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সহ প্রতিটি কলেজের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন৷

হাসপাতালগুলো হলো, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সাউর্দান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ইউএসটিসি হাসপাতাল। 

এসময় করোনার সংক্রমণরোধে সরকারি হাসপাতালের বাইরে বেসরকারি ৬ হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে কভিড শয্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রত্যেক হাসপাতালকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কভিড রোগীদের জন্য সুবিধাসহ শয্যা বাড়াতে ডেটলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। 

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান সিভয়েসকে জানান, সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মালিক ও পরিচালকরা কথা দিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কভিড চিকিৎসার শয্যা ও সুবিধা বাড়ানো হবে।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে মেরিন সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রোগী ভর্তি নিচ্ছে। হাসপাতাল দুটোতে এইচডিইউ শয্যাও বাড়ানো হচ্ছে। সাউর্দান মেডিকেল কলেজে সেন্টাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। বিজিসি ট্রাস্টের অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া সাধারণ আইসোলেশন সেবা দিবে। সব মিলিয়ে ৪ হাসপাতালে অন্তত ৪০০ রোগী সেবা নিশ্চিত হবে৷ ইউএসটিসি হাসপাতালও রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে৷ এছাড়া বিজিএমইএ তাদের হাসপাতালকেও কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করবে বলে জানিয়েছে। 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও জেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, 'সব হাসপাতালেই এখন রোগীতে ভরা। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে অবশ্যই দুশ্চিন্তা ভর করছে। চট্টগ্রামের পাঁচ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা ও সুযোগ সুবিধা ভালো আছে। এসব হাসপাতালে যদি কিছু রোগী ভর্তি করানো যায়, তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে।’

যদিও ইতোমধ্যে মা ও শিশু হাসপাতাল তাদের সর্বোচ্চতা দিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, বাকি হাসপাতালগুলোও তাদের মতো এগিয়ে আসলে সামনে সমস্যা হবে না। 

এর আগে, গত ১৪ জুলাই (বুধবার) চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর চট্টগ্রামের ৫ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোকে কভিড ডেডিকেটেড শয্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠান। 

হাসপাতালগুলোর কাছে পাঠানো অফিস আদেশে বলা হয়েছে— ‘চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রধান করা হলেও রোগীর তুলনায় বেড সংখ্যা অপ্রতুল। ফলশ্রুতিতে রোগী সাধারণ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালমুখী হচ্ছে। এরূপ পরিস্থিতিতে চলমান কভিড-১৯ মোকাবেলায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বেরসকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইসোলেশন বেড বৃদ্ধিসহ করোনা রোগী ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।'

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়