Cvoice24.com

পুত্রবধূর জানাজায় যায়নি কাউন্সিলর আমিনের পরিবার, পাঠায়নি রেহনুমার মেয়েকেও

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২৪, ২ জুলাই ২০২২
পুত্রবধূর জানাজায় যায়নি কাউন্সিলর আমিনের পরিবার, পাঠায়নি রেহনুমার মেয়েকেও

রেহনুমাা ও তার সন্তান।

শ্বশুর বাাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির পক্ষের কেউই অংশ নেয়নি। এমনকি তার দুই বছরের কন্যা আরিবাকেও শেষ বারের মত মায়ের লাশ দেখতে নিয়ে যায়নি তারা। 

শনিবার(২ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে আলকরণে নিজ বাড়িতে রেহনুমার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।

জানাজা শেষে রেহনুমার বাবা ইমতিয়াজ ইমতু সিভয়েসকে বলেন, ‘রেহনুমার জানাজায় তার শ্বশুর পক্ষের কেউ আসেনি। আমার নাতনিটাকেও তারা শেষবারের মত মায়ের লাশ দেখাতে আনেনি।’

তারা শ্বশুর পক্ষকে জানাজার খবর জানিয়েছিল কিনা সিভয়েসের এমন প্রশ্নের জবাবে ইমতিয়াজ ইমতু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা মুজিব নামে উনার (কাউন্সিলর নুরুল আমিন) এক কর্মীকে ফোন করে জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম নাতনিকে আনানোর জন্য। কিন্তু তারা কোন রেসপন্স করে নাই। কেউ আসেওনাই।'

শনিবার সকালে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাসা থেকে তার পুত্রবধূ রেহনুমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নুরুল আমিনের পরিবারের দাবি এটি আত্মহত্যার ঘটনা। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খাটে শোয়ানো অবস্থায় রেহনুমার লাশ উদ্ধার করে।

রেহনুমা চসিকের আলকরণ ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা তারেক সোলায়মান সেলিমের ভাই তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে।

রেহনুমার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলছে তার পরিবার।  রেহনুমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা কাউন্সিলর নুরুল আমিনের তুলনায় খারাপ ছিল। রেহনুমাকে এসব নিয়ে প্রায়ই নির্যাতন করতো তার শ্বাশুড়ি ও স্বামী।

এসব নিয়ে চসিকের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যরা বৈঠকও করেছিল। সেখানে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পরিবার ভবিষ্যতে আর রেহনুমাকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তার ভিত্তিতে রেহনুমাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠায় তার পরিবার। এরপর কিছুদিন সব ঠিক থাকলেও আবার নির্যতন শুরু করে শ্বশুর পরিবার। রেহনুমার বাবা গতকালও রেহনুমাকে আনতে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছলেন। কিন্তু তার শ্বশুর পরিবার রেহনুমাকে বাবার সাথে যেতে দেয়নি। কোরবানির ইদের পর তারা রেহনুমাকে বাবার বাড়িতে পাঠানোর কথা বলেছিল। 

রেহনুমার বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মিমাংসা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব ও আবদুস সালাম মাসুমও। 

হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, 'মাস তিনেক আগে আমরা দুই পরিবারের লোকজন নিয়ে বসেছিলাম তাদের অনুরোধেই। তারা সেখানে মিলমিশ হয়েছে। এরপর এই ঘটনা ঘটলো। খুব দুঃখজনক।'

এদিকে রেহনুমার লাশ উদ্ধারের পর পরই তার স্বামীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাকে কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছে। তবে জানা গেছে স্ত্রীর জানাজার সময় পাহাড়তলী থানার নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ডেস্কে বসে ছিলেন তিনি।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়