এমভি রুয়েন ছিল দস্যুদের মাদার ভেসেল
৩৫ সোমালি জলদস্যুর বিচার হবে ভারতীয় আইনে

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২৪ মার্চ ২০২৪
৩৫ সোমালি জলদস্যুর বিচার হবে ভারতীয় আইনে

ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হওয়া মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েন মুক্ত করার ঘটনায় আত্মসমর্পণ করা সোমালিয়ার ৩৫ জলদস্যুকে মুম্বাইয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ওই জলদস্যুদের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজে করে মুম্বাইয়ে নেওয়া হয়। ভারতীয় আইন অনুযায়ী এখন তাদের বিচার হবে বলে ভারতীয় নৌবাহিনী নিশ্চিত করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন দখলে নেয় দস্যুরা। ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো একটি কার্গো জাহাজ সফলভাবে সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

ভারত সরকার বলেছে, অপারেশনটি  আন্তর্জাতিক আইনের নীতি এবং এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে পরিচালিত হয়েছে। এদিকে পান্টল্যান্ডের বন্দর ও সামুদ্রিক পরিবহন মন্ত্রী আহমেদ ইয়াসিন সালাহ বিবিসি সোমালিকে বলেছেন, যারা জলদস্যুদের কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন তাদের সবাইকে এই অভিযান শিক্ষা দিয়েছে। বিবিসির পান্টল্যান্ডের সাংবাদিকও মত দিয়েছেন যে, সোমালি সরকারও চেয়েছে যে দস্যুদের সাজার মুখোমুখি হতে হোক।

ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবেক মাধওয়াল বলেছেন, এই সপ্তাহে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো সমুদ্রে ধরা পড়া পুরুষদের জলদস্যুতার বিচারের জন্য অভিযুক্তদের ভারতীয় উপকূলে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে গত ১৬ মার্চ জলদস্যুরা এই জাহাজটি ব্যবহার করে। এ ঘটনার পর অভিযানে নামে ভারতের নৌবাহিনী। অভিযানে এমভি রুয়েনকে উদ্ধারের সময় ৩৫ সোমালিয়ার জলদস্যু আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। জাহাজটির সাথে সাথে এর ১৭ নাবিককেও উদ্ধার করা হয়। নাবিকদের মধ্য মিয়ানমারের ৯ জন, বুলগেরিয়ার ৭ জন ও অ্যাঙ্গোলার একজন রয়েছেন।

জিম্মি উদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস কলকাতা। আত্মসমর্পণের পরপরই ৩৫ জলদস্যুর বিচার ভারতীয় আইনে হবে বলে জানিয়েছিল দেশটি।

উল্লেখ্য, ভারতের জলদস্যুতা বিরোধী আইনের অধীনে, হত্যা বা খুনের চেষ্টার জন্য মৃত্যুদণ্ড এবং শুধুমাত্র জলদস্যুতার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
সামরিক বাহিনীর একজন প্রাক্তন সদস্য টুইটে বলেছিলেন, হেলিকপ্টার এবং নজরদারি ড্রোনের সাহায্যে একটি যুদ্ধজাহাজের মাধ্যমে ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে  অভিযানের পরে নৌবাহিনীর আয়ত্তে এসেছিল এমভি রুয়েন।

গত ডিসেম্বরে এমভি রুয়েন ছিনতাই হয়। এই জাহাজ নিয়েই জলদস্যুরা আরও কয়েকটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এটি ব্যবহার করেই বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর দখল নেয় তারা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়