Cvoice24.com


উচ্চ মাত্রার ট্রান্সফ্যাটে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১৪ নভেম্বর ২০২০
উচ্চ মাত্রার ট্রান্সফ্যাটে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি

শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিডে মানুষের স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগসহ মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। খাদ্যে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে অধিক মাত্রার ট্রান্সফ্যাট ব্যবহারে ব্যবসায়িদের যেমন দায়িত্বশীল হতে হবে, তেমনি ভোক্তাদেরও সুস্থ জীবনের জন্য এসব খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) নগরীর স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতের সাম্পান হলে ক্যাব, প্রজ্ঞা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় ‘ভোক্তা অধিকার মিডিয়া অ্যালায়েন্স’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। 

কর্মশালায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিচার্স ইনস্টিটিউটের ট্রান্স ফ্যাট প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর ডা. শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুস সোবহান বলেন, ‘উদ্ভিজ্জ তেলের সাথে হাইড্রোজেন যুক্ত করলে তেল জমে যায় এবং ট্রান্স ফ্যাট উৎপন্ন হয়। ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত হাইড্রোজেনেটেড তেল শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাটের প্রধান উৎস, যেখানে ২৫ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ট্রান্স ফ্যাট থাকে। চিপস, চনাচুর, বিস্কুট বা জাঙ্কফুড জাতীয় খাবারে অধিক মাত্রার এই ট্রান্স ফ্যাট ব্যবহার করছে ব্যবসায়ীরা, যা জাতীয় স্বাস্থ্যের জন্য চিন্তার বিষয়।’

প্রজ্ঞার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ আল ইসলাম শিহাব বলেন, ‘ডালডা বা আংশিক হাইড্রোজেনেটেড অয়েলের নমুনায় অধিকমাত্রার ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা কোনভাবেই সম্ভব না। প্রতি বছর বিশ্বে ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যেকোনো ধরনের খাবারে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পরিমাণের ট্রান্স ফ্যাট থাকতে পারবে। এর অধিক থাকলে তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আমরা সর্বদা ভোক্তা তথা জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোক্তাদের সচেতনতা। আর এর জন্য কার্যকরি ভূমিকা রয়েছে মিডিয়ার। ভোক্তা পর্যন্ত তথ্য আদান প্রদানের প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যম হিসেবে ‘ভোক্তা অধিকার মিডিয়া অ্যালায়েন্স’ গঠন করা হলো, যেন ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সকল সঠিক তথ্য সবখানে পৌঁছে যায়।’

-সিভয়েস/জেআই/এএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়