Cvoice24.com

‘২-১ জন ভেটো দেওয়ায় রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়া যায়নি’

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ১৩ আগস্ট ২০২২
‘২-১ জন ভেটো দেওয়ায় রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়া যায়নি’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের সময় রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যেই বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে। ২-১ একজন সদস্য ভেটো দেওয়ায় তা বাদ দেওয়া যায়নি। 

শনিবার (১৩ আগস্ট) জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর সময় রাষ্ট্রীয় ধর্ম বাতিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ২-১ একজন সদস্য ভেটো দেওয়ায় তা করা সম্ভব হয়নি।”

সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনে ২০১০ সালে যে বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাতে আমুও সদস্য ছিলেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে গঠিত ওই কমিটিতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সদস্য ছিলেন। তবে ১৪ দলের নেতাদের বাইরে কেবল সদস্য ছিলেন জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

সংবিধান সংশোধনে আনা বিল পাসের সময় জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ সংসদ সদস্য কয়েকটি বিষয়ে আপত্তিসহ বিভক্তি ভোটে সই করেন। তাদের আপত্তির মধ্যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখাও ছিল।

সংসদীয় কমিটি বিল যাচাইয়ের সময় বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নিয়েছিল। বিশিষ্ট নাগরিকরা তখন রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার সুপারিশ রেখেছিল।

১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেছিলেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। পরে আরেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্মের বিধান সংযোজন করেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনা সভায় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়ক জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানের ধারায় দেশ নেওয়া হয়েছিল। যে কারণে সংবিধান সংশোধন করে জিয়া বিসমিল্লাহ বসাল মাথার উপরে। বঙ্গবন্ধু ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করেছিলেন। জিয়া সেটা আবার পুনরুদ্ধার করে। এখনও সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়েছে। তার মানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এখন সেই সংবিধান ধারণ করে কি না?”

ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাসদ সভাপতি ইনু, শাহরিয়ার কবির ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। তবে কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ মেনন অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তার পক্ষে সূচনাপত্র পড়ে শোনান দলের নেতা কামরুল আহসান। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়