পাহাড়ধসের শঙ্কায় বায়েজিদ লিংক রোডে বন্ধ হচ্ছে যান চলাচল 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ৭ জুন ২০২১
পাহাড়ধসের শঙ্কায় বায়েজিদ লিংক রোডে বন্ধ হচ্ছে যান চলাচল 

চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে যানবাহনের চাপ কমাতে ও দ্রুত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠতে বায়েজিদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত লিংক রোড নির্মাণ করেছে সিডিএ। তবে অনুমতির বাইরে গিয়ে পাহাড় কাটা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করাসহ নানা কারণে প্রকল্পটি নিয়ে উঠা প্রশ্ন থামছেই না। সামন্য বৃষ্টি হলেই পাহাড় কেটে তৈরি করা এ সড়কটির ওপর পাহাড়ই ধসে পড়ছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের সুযোগ দিলেও এবার তা অন্তত তিন মাসের জন্য একেবারেই বন্ধ করে দিচ্ছে সিডিএ। আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ জুন) সন্ধ্যা থেকে আগামী আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ পুরো বর্ষা মৌসুমেই যান চলাচল বন্ধ রাখবে সিডিএ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস সিভয়েসকে বলেন, ‘দুটি কারণে বায়েজিদ লিংক রোডটি আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, আমাদের একটি ওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে, যানবাহন চলাচলের কারণে এতে বিঘ্ন ঘটবে। দ্বিতীয়ত, ভারী বর্ষণের কারণে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এলাকার তিনটি পাহাড় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কিছু অংশে পাহাড়ও ধসে পড়েছে। আমরা এসব পাহাড়ধস ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সেকারণে পুরো বর্ষ মৌসুম পর্যন্ত বায়েজিদ লিংক রোডে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’ 

পুলিশের সহযোগিতার পাশাপাশি সিডিএ ফৌজদারহাট অংশে ব্রিক ফিল্ড বরাবর এবং বায়েজিদ অংশে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির মুখে সম্পূর্ণ ব্লক করে দেওয়া হবে বলে জানান হাসান বিন শামস। 

সিডিএ সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট টোল রোডের মুখ থেকে বায়েজিদ বোস্তামি পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে সিডিএ। প্রকল্পের আওতায় একটি রেলওয়ে ওভারব্রিজসহ ছয়টি ব্রিজ এবং কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে কাটা হয় ১৬টি পাহাড়। একেবারে নতুন রাস্তাটি নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন নেয়া হলেও ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কেটে দশ কোটি টাকার জরিমানাও গুনেছে সিডিএ। 

এরপরও পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণ খাড়া পাহাড়গুলো নতুন করে কাটার জন্য গত বছরের ২৩ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরে ৩ লাখ ৩২ হাজার ঘনমিটার পাহাড় কাটার অনুমতি চেয়ে নতুন করে আবেদন করে সিডিএ। এ চিঠি প্রাপ্তির পর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো কাটা ও সংরক্ষণ কিভাবে করা হবে, সে বিষয়ে সিডিএ’র কাছে বিশেষজ্ঞ মতামতসহ প্রতিবেদন চায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপর সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে প্রকল্পটির পরিচালক ও চুয়েটের দুই শিক্ষকের সমন্বয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদনটি এখনো জমা দেওয়া না হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সপ্তাহেই তা জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়