রিকশাচালক থেকে  আলীনগরের ‘সুলতান সুলেমান’ ইয়াসিন 

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২৩ জুলাই ২০২২
রিকশাচালক থেকে  আলীনগরের ‘সুলতান সুলেমান’ ইয়াসিন 

আলীনগরের স্বঘোষিত ‘রাজা’ ইয়াছিন

নিজের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র আলীনগরের স্বঘোষিত ‘সম্রাট’ ইয়াসিন জীবন যাপন করতেন তুর্কি সুলতান সুলেমান খানের মতো। সুলতান সুলেমান নামের একটি টিভি সিরিয়াল দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনি। নিজের সেবায় রেখেছিলেন ২০ জনের অধিক দাসী। ব্যক্তিগত জীবনে করেছেন চারটি বিয়ে। প্রথম জীবনে টানাটানির সংসার হলেও পরবর্তীতে সরকারি জায়গা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান ইয়াসিন। করেন ইচ্ছামতো জীবন যাপন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, তুর্কি সিরিয়াল সুলতান সুলেমান দেখে সুলেমানের মতো জীবন যাপন করতেন ইয়াসিন। বিশ জনেরও অধিক দাসী (কর্মচারী) ছিল তার। যে রাতে যাকে ইচ্ছা হত তাকে ডেকে নিতেন। ব্যক্তিগত জীবনে চারটি বিয়ে করেন তিনি। চট্টগ্রাাম শহরের হামজারবাগ, বিবিরহাট, হিল ভিউর বার্মা কলোনীতে আলাদা আলাদা বাসায় রাখেন তিন স্ত্রীকে। এছাড়া আলীনগর রাখতেন সবশেষে বিয়ে করা স্ত্রী মাহবুবাকে। তবে মাহবুবা ছিলেন আরেকজনের স্ত্রী। আলীনগরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন মাহবুবা ও তার স্বামী। দেখতে সুন্দরী এই মহিলাকে জোর করে বিয়ে করেন ইয়াসিন।

বিগত কয়েক বছর আগে নোয়াখালী থেকে জীবিকার সন্ধানে চট্টগ্রাম আসেন ইয়াসিন ও তার ছোট ভাই ফারুক। এসে প্রথমে কিছুদিন সিএনজি অটোরিকশা চালান চট্টগ্রাম শহরে। সে সময় চট্টগ্রামের একটি বস্তিতে থাকতেন দুই ভাই। এরপর কিছুদিন একটি জুট মিলে চাকরি করেন। আরও কিছুদিন পর সীতাকুণ্ডের সলিমপুরের জঙ্গল সলিমপুরে একটি ঘর ভাড়া নেন। নোয়াখালী থেকে কিছু সন্ত্রাসী এনে রাখতেন সেখানে। এরপর পার্শ্ববর্তী দুর্গম পাহাড়ের একটি অংশ কেটে বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও সন্ত্রাসী ও দাগী আসামিদের নিয়ে আসেন সেখানে। গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। শুরু করেন দেদারসে পাহাড় কাটা। পাহাড় কেটে একদিকে মাটি বিক্রি অন্যদিকে জায়গা বিক্রি। ফলে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান দুই ভাই। বিশাল একটা এলাকার নাম দেন আলীনগর। বাংলাদেশ থেকে করে নেন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

সিভয়েস/এএস

 

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়