চারদিন পর আগুন নিভলো বিএম ডিপোর, চলছে অপসারণের কাজ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ৮ জুন ২০২২
চারদিন পর আগুন নিভলো বিএম ডিপোর, চলছে অপসারণের কাজ

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম বলেছেন, ডিপোর ভেতরে কনটেইনারে লেগে থাকা আগুন পুরোপুরি আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। তবে কিছু কনটেইনার থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এগুলোতে গার্মেন্ট পণ্য আছে। এগুলোতে পানি দেওয়ার পর ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো ডিপোটি আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি, ঘুরে দেখেছি। দৃশ্যমান কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ডিপোতে বিভিন্ন কনটেইনার দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এগুলো ক্রেনের সাহায্যে এগুলো অপসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ৪০০ কনটেইনার। 

বুধবার (৮ জুন) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কারিগরি একটি টিম ফায়ার সার্ভিস ও ডিপো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ডিপোতো এখন আর আগুন জ্বলছে না, তবে কিছু ধোঁয়া বের হচ্ছে। এখানে গার্মেন্ট পণ্য আছে। এগুলোতে পানি দেওয়ার পর ধোঁয়া বের হচ্ছে। কিন্তু ডিপোর ভেতরে কোনো আগুন জ্বলছে না। যেহেতু ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় হয়ে গেছে, তাই বলতে পারি ঝুঁকির পরিমাণটা কমে গেছে। আশা করি আর কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই এবং বিস্ফোরণও হবে না। তবে ডিপোটি এখনও পুরো ঝুঁকিমুক্ত বলছি না। 

তিনি আরো বলেন, আগুন লাগার বড় কারণ ছিল এখানে কিছু রাসায়নিক কনটেইনার ছিল। রাসায়নিক সবগুলো কনটেইনারকে আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করেছি এবং সেগুলোকে পৃথক করে ফেলেছি। এ কারণে আগুন বাড়েনি। আমাদের দৃষ্টি ছিল আগুন যাতে না বাড়ে এবং নতুন করে যেন কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটে । যে কনটেইনারগুলোতে আগুন লেগেছিল তার পাশে কিছু অক্ষত কনটেইনার ছিল এগুলোকে আমরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে এসেছি।  

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল বলেন, ডিপো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, প্রায় ৩০টির মতো কনটেইনারে রাসায়নিক আছে। তবে সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। তারা আজকের মধ্যে তা আমাদেরকে জানাবে। সবাই মিলে সরেজমিন পরিদর্শন করে যেগুলোকে মার্ক করতে পেরেছি সেগুলোকে পৃথক করেছি। কিছু কনটেইনার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডেমেজ হয়ে গেছে। ডিপোটিতে চার হাজার ৪০০ কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে বলতে পারি ৪০০ কনটেইনার ধ্বংস হয়েছে। তবে ফাইনাল রিপোর্ট কোঅরডিনেট সেলের মাধ্যমে জানা যাবে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়