১২০ টাকার তরমুজ আড়তেই ৩৩০

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫২, ১৮ মার্চ ২০২৪
১২০ টাকার তরমুজ আড়তেই ৩৩০

পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যুক্ত হয়ে তরমুজের সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। অথচ আড়তেই বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা। 

সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার তরমুজের পাইকারি আড়তগুলোতে অভিযান চালিয়ে এ চিত্রি তুলে ধরেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

প্রতীক দত্ত বলেন, ‘পাইকারি আড়তগুলোতে তরমুজের ক্রয় বিক্রয় রশিদ, মূল্যতালিকা ও রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হয়। এ সময় উপস্থিত কৃষক এবং আড়ত মালিকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, গড়ে প্রতি ১০০ তরমুজের উৎপাদন খরচ ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি। সেখানে উৎপাদন পর্যায়েই তরমুজগুলো গড়ে ১৫ হাজার এবং পাইকারি পর্যায়ে ২০ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে অর্থাৎ প্রতিটি তরমুজের উৎপাদন খরচ ১০০ টাকা হলেও সেগুলো আড়তে সর্বোচ্চ ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’

প্রতীক দত্ত আরো বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে তরমুজপ্রতি (৫-৭ কেজি) উৎপাদন খরচ প্রায় ৩৫-৪০ টাকা। কৃষক সাধারণত বিক্রি করছেন ৮৫-১০০ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যুক্ত হয়ে সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।’

এ অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর জন্য আড়তদারদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয় এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় ইসলাম ট্রেডার্সকে ৫ হাজার এবং মদিনা ফার্মকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে আমাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত আছে। চিনি, চাল, এলাচ, সেমাই, খেজুর, তরমুজসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বাজারে এরই মধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। ভেজালবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন। কোনোভাবেই বাজারকে অস্থিতিশীল করা যাবে না।’

এ অভিযানে সহায়তা করেন সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বকর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল।

এদিকে নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযান চালায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানে মূল্য তালিকা না রাখায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেন সংস্থাটির উপ পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ। 

মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা, ক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার দায়ে মোহাম্মদীয় ফল বিতানকে ১০ হাজার টাকা, চন্দনাইশ ফার্মকে ৭ হাজার টাকা এবং বোয়ালখালী ফল বিতানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, রমজান উপলক্ষে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। আর তাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা লিপ্ত আছেন অনেকে। আজ তরমুজ বিক্রির প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। তদারকিকালে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা, ক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়