বাজারে অভিযানকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে ট্রল, ক্যাবের উদ্বেগ

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১৯ মার্চ ২০২৪
বাজারে অভিযানকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে ট্রল, ক্যাবের উদ্বেগ

সম্প্রতি দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। এসময় এক অসাধু ব্যবসায়ী কর্তৃক ১৩শ টাকায় এলাচ আমদানি করে ৩ হাজার ৯শ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পান তিনি। অভিযান পরিচালনার সময়কার একটি ভিডিও দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে ট্রল করে বানানো কিছু ক্লিপ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায়গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, 'বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার খাত ছিলো নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা। পরবর্তীতে মন্ত্রীসভা গঠন এবং সরকারের বিভিন্ন সভা, সেমিনার এমনকি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন, র‌্যাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের নানা নির্দেশনা প্রদান করলেও মাঠ পর্যায়ে তার প্রতিফলন সেভাবে পরিলক্ষিত হয়নি।'

'যার কারণে রমজানের আগের দিন ৫ টাকার লেবু ২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। খাতুনগঞ্জে ১৩০০ টাকায় আমদানিকৃত এলাচ বাজারে ৩৯০০ টাকায় বিক্রির মতো হাজারো ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। আমদানিকারক অমর মজুমদারের মতো হাজার হাজার অসাধু ব্যবসায়ী লক্ষ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পুরো দেশজুড়ে অতি মুনাাফার প্রতিযোগিতার মহোৎসব চলছে। খাতুনগঞ্জে বিনা রশিদে বিক্রি ও ডিও ব্যবসার পরিবর্তে এখন স্লিপ ব্যবসার মতো নিষিদ্ধ জুয়াড়ি ব্যবসারও প্রসার ঘটেছে।'

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, 'নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে প্রতীক দত্তের সাহসী ভূমিকার কারণে যেভাবে খাতুনগঞ্জে এলাচ এর ঘটনা, চিনির ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকা, রেয়াজউদ্দীন বাজারে কোল্ডস্টোরেজে ১০০ টন খেজুর মজুদ এবং পরবর্তীতে হাজারী গলিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিন বিক্রির ঘটনাসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনার উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। জেলা প্রশাসন যদি এ ধরনের অভিযান পরিচালনা না করতেন তাহলে এ ধরনের ঘটনা জাতির কাছে উপস্থাপন হত না। তাই ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের বিরুদ্ধে নেতিবচক প্রচারণার কারণে সিন্ডিকেট ও মজুদদাররা আরও বেপরোয়া হয়ে এ ধরনের অভিযানগুলো বন্ধ করার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করবে। যা ব্যবসায়ীদেরকে “সোমালিয়ার জলদস্যুর মতো মানুষকে জিম্মি করে জনগনের পকেট কাটার উৎসবকে” বিপুল ভাবে উৎসাহিত করবে।'

ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়