বাবুল আক্তারের জামিন নয় কেন— জানতে চান হাইকোর্ট।

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০২, ১৫ মার্চ ২০২২
বাবুল আক্তারের জামিন নয় কেন— জানতে চান হাইকোর্ট।

বাবুল আক্তার। ফাইল ছবি।

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় বাদী থেকে আসামি বনে যাওয়া সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। 

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এরআগে পাঁচবারের অধিক চট্টগ্রামের আদালতে জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ হয়েছিল। 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তখন পদোন্নতি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিতে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন বাবুল আক্তার। হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। সেই সময় দুই আসামি ক্রস ফায়ার নিহতের পাশাপাশি বেশ কজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। 

পরে আদালতের আদেশে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভার নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। এর পরদিন ১২ মে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

ঢাকায় ওই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই চট্টগ্রামে বাবুলের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় সেদিন জমা দিয়েছিলেন পিবিআইর পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সন্তোষ কুমার চাকমা। এরপর ওইদিনই পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন একটি হত্যা মামলা করেন। যাতে বাবুলকে প্রধান আসামিসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়। বাবুল সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। যদিও মিতুর বাবার মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট গ্রহণ করে বাবুলের মামলাটিতে একিভূত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মিতু হত্যা মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার প্রকাশ মুসা (৪০), এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া (৪১), মো. মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাকু (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)। 

 সংশ্লিষ্ট খবর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়