Cvoice24.com


সবচেয়ে বেশি রানের জয় বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১ মার্চ ২০২০
সবচেয়ে বেশি রানের জয় বাংলাদেশের

ইনজুরি থেকে ফেরা সাইফউদ্দিন জিম্বাবুয়ের প্রথম দুই উইকেট তুলে নিলেন। দলে কিংবা গ্যালারিতে উল্লাসের রোল পড়লেও সেটা গর্জে ওঠার মতো নয়। তবে মাশরাফি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চিবাবাকে ফেরাতেই গর্জে উঠল স্টেডিয়াম। মাঠেও দেখা গেল চোখে পড়ার মতো উল্লাস। মাশরাফি শেষ উইকেটটা তুলে নিতেও তাই। যদিও মুস্তাফিজ-মিরাজরা ছোট ছোট ওই উল্লাসের সুযোগ নিয়মিতই এনে দিয়েছেন দলকে। বাংলাদেশও ১৫২ রানে অলআউট করেছে জিম্বাবুয়েকে। তুলে নিয়েছে রানের ব্যবধানে নিজের সবচেয়ে বড় ১৬৯ রানের জয়।

ব্যাটিংয়েও ছোট একটা রেকর্ড দিয়ে শেষ করে বাংলাদেশ। 'নেতৃত্বের শেষের' সিরিজে টস জিতে ব্যাটিং নেন মাশরাফি মর্তুজা। লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ তোলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩২১ রান। উইকেট হারায় ছয়টি। সব মিলিয়ে নিজেদের অষ্টম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বড় রানে চাপা পড়ে এক রান তুলতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি জিম্বাবুয়ের কোন ব্যাটিং জুটি।

পঞ্চাশ রানের আগে চার উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। একশ’রানের আগে হারায় সাত উইকেট। সফরকারীদের নতুন কিংবা পুরনো প্রজন্মের সবাই ফিরে যান একে একে। ব্রেন্ডন টেইলর-সিকান্দার রাজা কিংবা মেদহেভেরে-মুতুমবামি কেউ দাঁড়াতে পারেননি উইকেটে। শেষ পর্যন্ত তাই রেকর্ড হারই মেনে নিতে হয় চিবাবাদের। দলের হয়ে মেদহেভেরে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন মুতুমবজি। এর আগে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০১৮ সালের শুরুতে ১৬৩ রানে পাওয়া জয়টা ছিল রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। সেবার ৩২০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এবার আগের জয়টা ছাড়িয়ে গেল লাল-সবুজের দলটি।

এর আগে দলের হয়ে লিটন দাস ক্যারিয়ার সেরা ১২৬ রান করেন। সেঞ্চুরির পরে হাত খুলে শট খেলতে শুরু করতেই ইনজুরি নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যান তিনি। অন্যরা বড় রান না করলেও ব্যাটিং খারাপ করেননি। তামিম-শান্ত কিংবা মাহমুদুল্লাহ-মিঠুনদের ইনিংসগুলো সেট হওয়ার পর শেষ হয়। ওপেনার তামিম ইকবাল ধীরে খেলে ৪৩ বলে ২৪ রান করেন। টেস্ট-টি-২০’র পর ওয়ানডে দলে ফিরে শান্ত তিনে ব্যাট করে ২৯ রান করেন। মুশফিক আউট হন ১৯ রান করে। এরপর মাহমুদুল্লাহ ৩২ এবং মোহাম্মদ মিঠুন ৫০ রান করেই ফিরে যান। শেষ ওভারে তিন ছক্কা মেরে সাইফউদ্দিন ১৫ বলে ২৮ রান করেন। ফাঁপিয়ে তোলেন দলের রানটা।

ব্যাটিংটা যেখানে শেষ করেছিলেন সাইফউদ্দিন বোলিংটাও সেখান থেকেই শুরু করেন। মাঠে নেমেই তিনি দলে তার উপস্থিতি জানান দেন। তুলে নেন প্রতিপক্ষের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দলের সেরা বোলারও তিনিই। সাত ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি দেন ২২ রান। এছাড়া মেহেদি মিরাজ ও মাশরাফি মর্তুজা তুলে নেন প্রতিপক্ষের দুটি করে উইকেট। তবে মাশরাফি ৬.১ ওভার বল করে সাড়ে পাঁচের ওপর রান দেন। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ রহমান ও তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের হয়ে দলের সিনিয়র পেসার এমপফু নেন বাংলাদেশের দুই উইকেট। 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়