Cvoice24.com

‘গণগ্রেপ্তার’ সরকারের বাকশালী শাসনের নগ্ন উদাহরণ : বদরুল আনোয়ার

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৮ মে ২০২১
‘গণগ্রেপ্তার’ সরকারের বাকশালী শাসনের নগ্ন উদাহরণ : বদরুল আনোয়ার

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ার বলেছেন, করোনার কারণে যেখানে বিএনপির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ এমন সময় হেফাজতে ইসলাম দমনের নামে বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের ও দেশব্যাপী গণগ্রেপ্তার আওয়ামী সরকারের বাকশালী শাসনের নগ্ন উদাহরণ।

শনিবার (৮ মে) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের মুক্তি ও নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বদরুল আনোয়ার বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিএনপি পরিবারের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত, তৃণমূল থেকে ওঠে আসা ডা. শাহাদাত হোসেনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিগত চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর কাছে জনতার মেয়র হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহলের ইশারায় বানোয়াট মামলা দিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’ 

‘অবিলম্বে আসলাম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাত হোসেনসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রাম থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।’— বক্তেব্যে বলেন বদরুল আনোয়ার।

সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করার জন্য অস্ত্র হিসেবে নিষ্ঠুর দমনমূলক আইনগুলো ব্যবহার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে যেখানে বিএনপির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ এমন সময় হেফাজতে ইসলাম দমনের নামে বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের ও দেশব্যাপী গণগ্রেপ্তার আওয়ামী সরকারের বাকশালী শাসনের নগ্ন উদাহরণ।’ 

তিনি বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামীম, আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ান, ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রূপদানের জন্য করোনা ভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা এবং গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কারান্তরীণ করছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান নির্যাতন নিপীড়নের ধারাবাহিকতায়ই লায়ন আসলাম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাত হোসেনকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রেখেছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কাল্পনিক ও গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনা নিত্য ঘটছে। কিন্তু হামলা-মামলার মাধ্যমে বিএনপিকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। বিএনপি কোন সময় আপোষ করেনি। এসব বানোয়াট মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে পারবে না। তিনি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দীন চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির সদস্য নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, সাবেক ছাত্রনেতা মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী।

এছাড়া প্রতিবাদ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন মো. মহসিন, এম আই চৌধুরী মামুন, মো. সেকান্দর, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল হারুন, ইসহাক চৌধুরী আলিম, জাকির হোসেন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, আবুু মুছা, আরিফ মেহেদী, আখী সুলতানা, সরওয়ার উদ্দীন সেলিম, নাসিম উদ্দীন চৌধুরী নাসিম, আবদুল আহাদ রিপন, আসাদুর রহমান টিপু, সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়