বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া
সিভয়েস, ঢাকা
ফাইল ছবি।
চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
গত (৫ মে) বুধবার রাতে খালেদাকে বিদেশে নিতে লিখিত আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। লিখিত আবেদনটি পাওয়ার পরপরই তা মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে ওই দিন রাতেই পাঠানো হয়।
রবিবার (৯ মে) মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কারো বিদেশে চিকিৎসার নজির নেই বলেও মতামতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চায় তাঁর পরিবার। যদিও শনিবার (৮ মে) রাতে ২৮ দিনের মাথায় তৃতীয় টেস্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
গত ১০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। এ সময় তার বাসার আরও ৮ জন কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার টেস্টেও পজিটিভ রিপোর্ট আসে বিএনপি চেয়ারপারসনের। সবশেষ ৮ মে ২৮ দিন পর আনুষ্ঠানিক পরীক্ষায় কোভিড নেগেটিভ হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
গত ২৭ এপ্রিল সাময়িক সময়ের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও জটিলতা বৃদ্ধি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাকে সিসিইউ ইউনিটে রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছিলেন বেগম জিয়া। এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারও ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।