Cvoice24.com

রেলকে যোগাযোগের প্রধান ব্যবস্থা হিসেবে গড়তে মন্ত্রীকে সুজনের আহ্বান

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ৯ জুন ২০২১
রেলকে যোগাযোগের প্রধান ব্যবস্থা হিসেবে গড়তে মন্ত্রীকে সুজনের আহ্বান

রেলওয়েকে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান খাত হিসেবে গড়ে তুলতে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। 

বুধবার (৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি রেলপথ মন্ত্রীর নিকট এ অনুরোধ জানান। 

তিনি বলেন, আসাম বাংলা রেলওয়ের সদর দপ্তর ছিল চট্টগ্রাম। স্বপ্নের রেলযাত্রা নিয়ে একসময় যাত্রী সাধারণের মধ্যে আগ্রহের সীমা-পরিসীমা ছিলো না। কালের বিবর্তনে রেলের উন্নয়ন হলেও বর্তমান সময়ে কিছুটা মনযোগহীনতার কারণে রেলের সেই সুনাম ম্লান হতে চলেছে। আমরা চাই রেলওয়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের প্রধাণ খাতে পরিণত হোক। 

সুজন বলেন, রেলের যে এতিহ্য একসময় ছিল তা বাস মালিকদের লোপুপ দৃষ্টির কারণে ধ্বংস হতে বসেছিল। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে রেলওয়ের সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করে। বিশাল আকারের বাজেট বরাদ্দের ফলে রেলকে সত্যিকার অর্থে যাত্রীদের আস্থার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। 

তিনি বলেন, পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রাণকেন্দ্র। একসময় সেখানে রেলওয়ের ইঞ্জিন মেরামত এবং সংযোজন কাজ চলতো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। বর্তমানে শুধুমাত্র পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ, সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ এবং পার্বতীপূর ওয়ার্কশপকে পুনরুজ্জীবন এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ইঞ্জিন এবং বগি আমদানি না করেই দেশিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক ইঞ্জিন এবং বগি তৈরি করা সম্ভব। এর ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় হবে। 

খোরশেদ আলম সুজন আরও বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের অর্থনীতির প্রধান খাত হিসেবে রেলওয়ে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশেও রেলওয়েকে অর্থনীতির অন্যতম খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারত, মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গেও রেলওয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা। 

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার ও চীন পর্যন্ত সম্প্রসারিত রেললাইনে দেশের অর্থনীতির দুয়ার খুলে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

নগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যাত্রী সেবার মান বাড়াতে রেলকে আধুনিক মানের করতে হাইস্পিড ট্রেন চালুর প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে। এর পাশাপশি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত কন্টেইনার পরিবহনের জন্য যদি একটি আলাদা লাইন স্থাপন করা হয় তাহলে বন্দরের সকল পণ্যবাহী কন্টেইনার ওই রেললাইন দিয়ে আসা যাওয়া করবে। এতে করে খাতটি রেলওয়ের একটি নতুন অর্থনৈতিক খাত হিসেবে পরিগণিত হবে। এর ফলে একদিকে রেলওয়ের বিশাল পরিমাণ অর্থ আয় হবে অন্যদিকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে রেল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। ফলে সড়কে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পাবে যাত্রী সাধারন। 

সুজন আরও বলেন, রেলওয়ের সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বৃদ্ধি না করেও শুধুমাত্র বন্দর কেন্দ্রিক রেললাইন থেকে বিশাল পরিমাণ অর্থনৈতিক আয় করতে পারবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া চট্টগ্রাম-দোহাজারী এবং চট্টগ্রাম-নাজিরহাট শাখা লাইনগুলোকে উন্নত করে নতুন কোচ সংযোজন এবং বিশেষ করে চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে অতিরিক্ত মালবাহী কোচ সংযোজন করলে সেখানকার উৎপাদিত পন্য সামগ্রী কৃষকরা সহজেই চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে আসতে পারবে। ফলে একদিকে কৃষকরা তার ন্যায্যমূল্য পাবে এবং ভোক্তাগণও স্বল্পমূল্যে উৎপাদিত পণ্য ভোগ করতে পারবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সুজন। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়