অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করে এবার মামলার জালে নাসির

ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে নববধূ তামিমা সুলতানা তাম্মিকে।  

ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাদী রাকিব হাসানের সঙ্গে ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তোবা হাসান নামে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে, যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।

তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ক্রিকেটার নাসিরের কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাকিবের নজরে আসে। এসব দেখে হতবাক হলেও পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন। 

এছাড়া নাসির ও তামিমরা গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়, যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ স্বামী রাকিবের সঙ্গে তামিমার বিয়ের সম্পর্ক চলমান। বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার এই বিয়ে করা, যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামি নাসিরের সঙ্গে তিনি অবৈধ বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার।

আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশুকন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানিও হয়েছে, যা অপূরণীয় ক্ষতি।

যদিও এর মধ্যে নাসির বাদী রাকিবকে ফোন করে জানান যে, সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার কাছেই তামিমা আছেন।