সাকিবের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে প্লে-অফে গায়ানা
ক্রীড়া ডেস্ক
সিপিএলে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে গায়ানাকে প্লে অফে পৌঁছে দেন সাকিব
এবারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা সিপিএলে খেলতে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচে বোলিংয়ে নিজেকে চেনালেও ব্যাট ছিল নিষ্প্রভ টাইগার সুপারস্টার সাকিবের। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে কেন তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তা হাড়ে হাড়ে প্রতিপক্ষকে অংক কষে বুঝিয়ে দিলেন। তার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের দ্যুতি ছড়িয়ে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জয় উপহার দিল সাকিব গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে। এতেই ৪ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে আসলো দলটি। আর দারুণ পারফর্ম করে সাকিব জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে গায়ানা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩৬ রানেই অল আউট হয়ে যায় ত্রিনবাগো।
এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৬ রানে ২ উইকেট হারায় সাকিবের দল গায়ানা৷ এরপর ব্যাট করতে এসে গুরবাজের সাথে দারুণ জুটি গড়েন সাকিব। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ৩৫ রান করে আউট হন সাকিব। এছাড়াও গায়ানার হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৬০ রান করেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। শেষদিকে ৭ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন ওশেন স্মিথ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা নাইটদের ৩২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সাকিব। প্রথম ওভারেই ফেরান সেইফার্টকে। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ৮ রানে ১ উইকেট শিকার করেন তিনি।
দ্বিতীয় স্পেলে ১৭ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এবার ৮ বলে ১২ রান করা আন্দ্রে রাসেলকে গুরবাজের তালুবন্দি করেন সাকিব। রাসেলের বিদায়ের পর জয়ও প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পরও শেষদিকে নারাইন এসে হাত খুলতে চেষ্টা করেন। তাকে নিজের শেষ স্বীকার বানিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেন সাকিব। ১৩৬ রানেই থেমে যায় নাইটদের ইনিংস৷
৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এছাড়াও নিকোলাস পুরানকে সেট হওয়ার আগেই ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউটও করেন তিনি। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে সাকিব জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।