Cvoice24.com

প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০০, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম 

৩৫ দিন আগে কেন্দ্র থেকে হঠাৎ সিদ্ধান্ত আসে চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আর দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয় রবিবার (৪ ডিসেম্বর)। ফলে ওই দিনের কথা মাথায় রেখে ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে চট্টগ্রামে চলে নানা কর্মযজ্ঞ। ব্যস্ত সময় পার করে প্রশাসন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতারা। এতদিনের অপেক্ষার প্রহর শেষ; তবে ক্ষণ-গণনা শুরু করেছে চট্টগ্রামবাসী। কতঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে পা রাখবেন আর তাঁকে বরণ করা হবে সেই হিসেব কষতেই ব্যস্ত চট্টগ্রামের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

এদিকে জনসভার আগেরদিন শনিবার দিনভর প্রচার-প্রচারণায় মুখর চট্টগ্রাম। পিকআপে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে, সিএনজি অটোরিকশা-রিকশায় মাইক বেঁধে জনসভার প্রচারণা চালানো হয়েছে। শেষদিনে স্লোগান উঠছে শুধু— ‘নৌকা, নৌকা’। সিআরবির ছায়াঘেরা পিচঢালা পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আঁকা আলপনা উৎসবে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত জেগে শিক্ষার্থীরা সিআরবির পথকে রাঙিয়ে দেন। লিখে দেন— ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন, আলপনায় স্বাগতম’।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াচে অংশ নিতে হেলিকপ্টারে করে ভাটিয়ারিস্থ বিএমএতে আসবেন রোববার ভোরে। সেখানকার কর্মসূচি সেরে দুপুরের পর সড়কপথে আসবেন নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে। যেখানে ঠিক ১০ বছর ৯ মাস আগে এসে ভাষণ দিয়েছিলেন। আর তাঁকে বরণ করতে নগরজুড়ে বিরাজ করছে সাজ-সাজ রব। নানা রঙের তোরণে ছেয়ে গেছে নগর। ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর পঙ্ক্তিমালা। সেই সঙ্গে পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভার মঞ্চটি করা হয়েছে নৌকার আদলে। যেখানে প্রায় ২শ’ অতিথি একসঙ্গে বসতে পারবেন। আর সেই জনসভার মঞ্চে বসেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি আরও চারটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে তিনটি প্রকল্প। সেগুলো হলো— জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২ নং পোল্ডারের ভাঙন প্রবণ এলাকায় স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে পূনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৪/১এ, ৬৪/১বি এবং ৬৪/১সি পোল্ডারের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত)।

কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে সীতাকুন্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, ফটিকছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া কোতয়ালী থানাধীন দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসার একটি ৬ তলা ভবন এবং সীতাকুন্ড টেকনিক্যাল স্কুলে একটি ৫ তলা ভবন ও একটি ৪ তলা প্রশাসনিক ভবন, ওয়ার্কশপ, একতলা সার্ভিস এরিয়া ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে কোতয়ালী থানাধীন গুল-এ জার বেগম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ১০ তলা একাডেমিক ভবন, কুসুমকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, পাঁচলাইশ থানাধীন বন গবেষণাগার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, বোয়ালমারী উপজেলাধীন হাজী মোহাম্মদ জানে আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, সন্দ্বীপের সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন এবং ডবলমুরিং থানাধীন সরকারি সিটি কলেজে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে নেতাকর্মীরা আসছেন।

এছাড়া উদ্বোধন করা হবে পলোগ্রাউণ্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন সম্প্রসারণ, সরকারী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের লালদিঘী মাঠের ৬ দফা মঞ্চ নির্মাণসহ সংস্কার কাজ এবং খুলশী থানাধীন সিএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের সম্প্রসারণ কাজ উদ্বোধন করা হবে।  

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে মীরসরাইয়ে হিংগুলি ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং লোহাগড়ায় চুনতি ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিটাক চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নারী হোস্টেল নির্মাণকাজও উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে নাসিরাবাদ শিক্ষানবিসি প্রশিক্ষণ দপ্তর সংস্কার ও আধুনিকায়ন কাজ।  

উদ্বোধনের তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়ানহাটে হর্টিকালচার সেন্টারে একটি প্রশিক্ষণ ও অফিস, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘দুইটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন (প্রতিটি ৫০০০ বিএইচপি/ ৭০ টন বোলার্ড পুল) টাগবোট সংগ্রহ’শীর্ষক প্রকল্প ও ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ  শীর্ষক প্রকল্প।

এসব প্রকল্পের বাইরে আরও চারটি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো হচ্ছে— নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষাঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ, আনোয়ারায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকরণ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান স্থাপন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে চট্টগ্রামস্থ বিপিসি ভবন নির্মাণ কাজের।

এদিকে নৌকা আকৃতির ৩ হাজার ৫২০ বর্গফুটবিশিষ্ট মঞ্চটিতে বসতে পারবেন প্রায় ২০০ জন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে বসবেন কারা সেটি চূড়ান্ত করবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেই নিরাপত্তার পরও মঞ্চে থাকা নেতৃবৃন্দকে দিতে হয়েছে আরেকটি পরীক্ষা। করোনা নেগেটিভ এলেই উঠতে পারবেন প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আগামীকাল চট্টগ্রামে আসছেন। এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আমরা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবাই মিলে এই আয়োজন করছি। এই সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সমাগম হবে।’ 

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। ফলে চট্টগ্রামে এতগুলো মেগাপ্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম আরো সম্বৃদ্ধ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ সব ধরনের উন্নয়নের কথা আগামীকাল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রতিদিনই পরিদর্শনে যান নেতৃবৃন্দরা। পলোগ্রাউন্ড মাঠে পরিদর্শনে গিয়ে ‘জনসভাকে ঘিরে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে’ জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুল আলম হানিফ বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের এই জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। সেটা দেখার জন্য, জানার জন্য ও প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিবেন। সেটার জন্য চট্টগ্রামবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমাদের বিশ্বাস, আগামীকালকের জনসভা শুধু এই পলোগ্রাউন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। গোটা চট্টগ্রামের শহরেই সকল মানুষের উপস্থিততে জনসমুদ্রে রুপ নিবে।’

হানিফ আরও বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে সমাবেশস্থলের দরজা খোলা থাকবে। আমাদের নেতাকর্মীদেরও সকাল আটটা থেকে মাঠে প্রবেশের জন্য সকল প্রস্তুতি আছে। আমরা আশাকরি দুপুর আড়াইটার মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসবেন এবং তিনটার মধ্যেই তিনি বক্তব্য শুরু করবেন।’

এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। কয়েক দিন আগে এখানে বিএনপি জনসভা করেছিল। মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল। আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আমরা যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। শুধু পলোগ্রাউন্ড মাঠ নয়, নিরাপত্তার খাতিরে পুরো নগর জুড়ে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এরমধ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ পুরো চট্টগ্রাম মহানগরে আমাদের ৬ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি আরো জোরদার করতে বাইরে আরও দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।’

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘এটা চট্টগ্রামের জন্য বড় উৎসব। নিরাপত্তার জন্য আমাদের আয়োজন ভাল। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজনটাই তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মোতাবেক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন থাকবে। মোটকথা, পুরো শহর জুড়ে নিরাপত্তা থাকবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। ওইদিন যারা মিছিলে আসবেন, গাড়ি কোথায় রাখবেন সেটা আমরা পরে বলে দেব।’

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে যে পথে চলবে গাড়ি

আগামী ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে রেডিসন গোলচত্বর, ইস্পাহানি মোড়, টাইগারপাস হয়ে পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থল পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যেসব স্থানে রোড ব্লক ও ডাইভারশন পয়েন্ট থাকবে— নগরের হাই লেভেল রোড, ওয়াসার মোড়, জমিয়াতুল ফালাহ্ পশ্চিম গেইট ইউর্টান, লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নামার মুখ, আলমাস মোড়, চানমারি রোড, ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি রোডের মুখ, সিটি কর্পোরেশন অফিস গলির উভয়মুখ, দেওয়ানহাট ব্রিজের মুখ, টাইগারপাস মোড়, আমবাগান রেলক্রসিং, কাজীর দেউড়ি, নেভাল এভিনিউ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউট, রেলওয়ে অফিসার্স কলোনি মসজিদ, কুক আউট রেষ্টুরেন্ট, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কাঠের বাংলো, ফ্রান্সিস রোড, আটমার্সিং, এনায়েত বাজার, পুরাতন রেল স্টেশন, কদমতলী মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, সিটি কলেজ মোড়, ব্রিজ ঘাট (অভয়মিত্র ঘাট), নতুন ব্রিজ (মেরিন ড্রাইভ রোডের মুখ), আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠার মুখ (বেবি সুপার মার্কেট), ষোলশহর ২ নম্বর গেট পুলিশ বক্সের সামনে, ফ্লাইওভারে উঠার মুখ (এন মোহাম্মদ মুরাদপুর), পেনিনসুলা হোটেলের সামনে, শহীদ শাহজাহান মাঠের সামনে (আমবাগান রোড), পাঞ্জাবি লেইনের মুখ (জাকির হোসেন রোড) এবং আগ্রাবাদ বাদামতলি মোড়।

সমাবেশস্থলের আশপাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জিওসি-২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজির জন্য আলাদা ড্রপিং পয়েন্ট ও পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারিত থাকবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়