Cvoice24.com

বন্দরের গেটে পড়বে না এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের স্প্যান

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বন্দরের গেটে পড়বে না এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের স্প্যান

ছবি: সংগৃহীত

নগরের বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় সড়কের ওপর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে আপত্তি তোলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, সড়কের এ অংশটিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে বন্দরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। বিষয়টি সমাধানে সিডিএ’র সাথে জরুরি সভা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সভায় সড়কের কোনো পিলার বন্দরের গেটগুলোতে যাতে না পড়ে সে লক্ষ্যে স্প্যানের দূরত্ব সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।   

আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বন্দর ভবনের বোর্ড রুমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (বারিক বিল্ডিং থেকে বন্দর ভবন পর্যন্ত অংশ) অ্যালাইমেন্ট চূড়ান্ত করতে আয়োজিত জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। 

সভায় সিডিএ’র এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকালীন যাতে বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাক-লরির চলাচল নির্বিঘ্ন থাকে এবং বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে কোনোরকম বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। 

একই সঙ্গে বারিক বিল্ডিং থেকে সল্টগোলা পর্যন্ত অনুমোদিত ডিপিপিতে পাঠানো নকশা অনুযায়ী মূল সড়কের মধ্যখানে পিলার স্থাপনের মাধ্যমে ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত বহাল, যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে নির্মাণ কাজ চলাকালীন সড়কের দুই দিকে দুই লেইন করে মোট চার লেইন ফ্রি রেখে নির্মাণ কাজ করা, ফ্লাইওভারের যে পাশে কেপিআই এলাকা থাকবে সেই পাশে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে শব্দ নিরোধক উঁচু ফেন্সিং তৈরি, নির্মাণকালীন সময়ে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয় করা এবং বন্দরের বিদ্যমান গেইটগুলোতে চলাচলকারী ট্রাক-লরি প্রয়োজনে সিপিএআর গেইটে সাময়িক শিফট করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

সভার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাধারণ জনগণের স্থাপনা বাবদ কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। এতে সিডিএর সাশ্রয় হবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, বিভাগীয় প্রধান, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ম্যাক্স-রেনকিং জেভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমুখ।  

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম সফরকালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরপর ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এ প্রকল্প যখন অনুমোদন পায়, তখন তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়।

নগরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চারলেইনের এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

-সিভয়েস/টিএম/এমএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়