উন্মুক্ত হলো বায়েজিদ লিংক রোড, চলছে যানবাহন 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০০, ১৫ জুন ২০২১
উন্মুক্ত হলো বায়েজিদ লিংক রোড, চলছে যানবাহন 

প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় বায়েজিদ বোস্তামি-ফৌজদারহাট লিংক রোড দিয়ে অবশেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গত মঙ্গলবার (৮ জুন) তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলেও মাত্র ৭ দিনের মাথায় তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডিএ। মঙ্গলবার (১৫ জুন) থেকে সীমিত আকারে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে দেখা যায়। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এরআগে সোমবার রাতে সড়কে দেওয়া ব্যারিকেড সরানো হয় বলে সিভয়েসকে জানিয়েছিলেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তিনি বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে সেখানে ব্যারিকেড সরানোর কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার থেকে সেটা খুলে দেওয়া হয়। সড়কটির মাঝখানে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা আছে এবং সেখানের একটি অংশে কাজ চলছে। তাই ওই অংশের দুটি লেন বন্ধ থাকবে।’

সিডিএ কর্মকর্তারা বলছেন, ভারী বর্ষণের কারণে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এলাকার তিনটি পাহাড় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কিছু অংশে পাহাড়ও ধসে পড়েছে। এসব পাহাড়ধস ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ওই ৩টি অংশে মঙ্গলবার থেকে শুধুমাত্র দুই লেন বন্ধ থাকবে। আর পুরো সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

কাজী শামস সিভয়েসকে বলেন, ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটির যে ৩টি পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে আমরা ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া ফুটপাত ঘেরাও করে রাখা হবে যেন মানুষ ঢুকতে না পারে।’

সিডিএ সূত্র জানায়, বায়েজিদ লিংক রোড তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়েছে নগরের ২ নম্বর গেট থেকে জিইসি হয়ে খুলশী জাকির হোসেন রোড পর্যন্ত। তাই নগরের এসব সড়কে ভারী গাড়ির চাপ কমাতে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হচ্ছে বায়েজিদ লিংকা রোডটি। রোববার সিডিএ প্রকৌশল বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল জিইসি, জাকির হোসেন রোড ও বায়েজিদ লিংক রোড পরিদর্শন শেষে বায়েজিদ লিংক রোড খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে ব্যারিকেড সরানোর কাজ শুরু করে সিডিএ।

সিডিএ সূত্র আরও জানায়, সিডিএ সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট টোল রোডের মুখ থেকে বায়েজিদ বোস্তামি পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে সিডিএ। প্রকল্পের আওতায় একটি রেলওয়ে ওভারব্রিজসহ ছয়টি ব্রিজ এবং কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে কাটা হয় ১৬টি পাহাড়। একেবারে নতুন রাস্তাটি নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন নেয়া হলেও ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কেটে দশ কোটি টাকার জরিমানাও গুনেছে সিডিএ। 

এরপরও পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণ খাড়া পাহাড়গুলো নতুন করে কাটার জন্য গত বছরের ২৩ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরে ৩ লাখ ৩২ হাজার ঘনমিটার পাহাড় কাটার অনুমতি চেয়ে নতুন করে আবেদন করে সিডিএ। এ চিঠি প্রাপ্তির পর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো কাটা ও সংরক্ষণ কিভাবে করা হবে, সে বিষয়ে সিডিএ’র কাছে বিশেষজ্ঞ মতামতসহ প্রতিবেদন চায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপর সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে প্রকল্পটির পরিচালক ও চুয়েটের দুই শিক্ষকের সমন্বয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদনটি এখনো জমা দেওয়া না হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সপ্তাহেই তা জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়