Cvoice24.com

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে শহরের শ্রী বাড়াতে চসিকের ব্যয় ৪ কোটি!

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১ ডিসেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে শহরের শ্রী বাড়াতে চসিকের ব্যয় ৪ কোটি!

অপেক্ষা আর মাত্র দুই দিনের। দীর্ঘ দশ বছর পর চট্টগ্রামে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন (৪ ডিসেম্বর) ভাষণ দিবেন নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে। আর তাঁকে বরণ করে নিতে নানা কর্মযজ্ঞ চলছে নগরজুড়ে। ‘ধূসর’ চট্টগ্রামকে বর্ণিল রঙে সাজাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের খরচ হয়েছে চার কোটি টাকা। একাধিক সূত্রে খরচের পরিমাণের বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা গেলেও কর্মকর্তাদের ব্যস্ততার কারণে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। 

তবে চসিক সূত্রে জানা গেছে, সড়কের খানাখন্দ সংস্কার-মেরামত, অবৈধ দখলদারদের থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, ফ্লাইওভার সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এরমধ্যে সড়কের মেরামত-সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রকৌশল বিভাগকে এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চসিকের নগর পরিকল্পনা বিভাগকে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভার, এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের মাঝখানের অংশটির ল্যাম্পপোস্টে নৌকার আকৃতিতে এলইডি বাতি লাগিয়েছে চসিক। এছাড়াও সড়কের আইল্যান্ড ও ফুটপাত রঙিন করে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ময়লার আস্তরণে ঢেকে যাওয়া বিভিন্ন ভাস্কর্য ও স্থাপত্যশৈলীকে ঝকঝকে করে তোলা হয়েছে। নগরের খানাখন্দে মুখ থুবড়ে পড়া সড়ক থেকে শুরু করে পুরো শহর ধুয়েমুছে রাঙানো হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পতেঙ্গা সৈকত সংলগ্ন লিংক রোড, টোল রোড ও বায়েজিদ লিংক রোড হয়ে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের পথেই সাজসজ্জার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বেশি। কারণ এই পথ ধরেই জনসভায় যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। 

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সাজসজ্জার কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম সিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালোই আছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন থেকে শুরু করে সৌন্দর্যবর্ধনসহ যাবতীয় কাজ দেখভাল করা হচ্ছে। আমাদের কোনো কমতি রাখছি না। যাতে এখানে কোনো খুঁত না থাকে। প্রধানমন্ত্রী আসার আগ দিন পর্যন্ত আমাদের কাজ চলবে।’

সাজসজ্জার কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো ঠিক বলতে পারবো না। আমি এখন ঢাকায় একটা সেমিনারে আসছি। আমাদের প্রধান প্রকৌশলী বিষয়টি বলতে পারবেন। তাদেরকে এসবের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে কয়েকদফা ফোন করেও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়টা বলতে পারবো না। চিফ ইন্জিনিয়ার উনাকে ফোন দেন উনিই বলতে পারবেন।’

সিভয়েস/এসআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়