Cvoice24.com

চরম সংকট/ চট্টগ্রামে আইসিইউর বাইরে মৃত্যুর অপেক্ষায় সিট প্রত্যাশীরা

আতীয়া নওশীন

প্রকাশিত: ১৫:২২, ২৫ জুলাই ২০২১
চরম সংকট/ চট্টগ্রামে আইসিইউর বাইরে মৃত্যুর অপেক্ষায় সিট প্রত্যাশীরা

প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদস্য কুতুবউদ্দিন শাহ ইমন। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার নিকটাত্মীয় করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য আইসিইউ হন্য হয়ে খোঁজেও পাননি। নানা চেষ্টা তদবিরেও আইসিইউ না মেলার খবরে যখন কপালে দুঃশ্চিতার ভাঁজ তখনই তার কাছে খবর এলো এভারকেয়ার হাসপাতালে সন্ধ্যায় একজন রোগী মারা গেছে তাই আইসিইউতে তার রোগী ভর্তির সুযোগ পাবে। এই হলো চট্টগ্রামের করোনার বর্তমান চিকিৎসাচিত্র। একজনের মৃত্যুতে সিট খালি হতে না হতেই আরেকজন সিটের অপেক্ষায়। শুধু আইসিইউ নয়; সাধারণ কোভিড সিট পাওয়াও এখন রীতিমত ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ইমন আইসিইউ পেলেও তা খুবই বেদনাদায়ক উল্লেখ করে বলেন, 'অনেক চেষ্টা তদবির করে আইসিইউ ম্যানেজ করতে পারলেও তা কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নয়। একজন মারা গেছে বলেই খালি পেয়েছি। পরিস্থিতি এমন যে, কখন আইসিইউর রোগী মারা যাবে তার জন্য আরেকজন যেন সিট পাবার আশায় অপেক্ষায় থাকে। যা খুবই উদ্বেগের, বেদনার। আরেকজনের মৃত্যুতে নিজের জন্য কিছুটা হলে স্বস্তি আনছে এই আইসিইউ।'

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩০০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড। রবিবার দুপুর পর্যন্ত সবগুলো শয্যাতেই রোগীতে পরিপূর্ণ। একটি সাধারণ শয্যাও তাতে খালি নেই। বাধ্য হয়ে ভর্তি হওয়া নতুন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে রেখেই। এইতো গেল সাধারণ শয্যার চিত্র।

মুমূর্ষু কোভিড রোগীদের শেষ ভরসা আইসিইউ সেবা দিতে সরকারি এ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৭টি। সবগুলো শয্যতেই রোগী ভর্তি রয়েছে। অপেক্ষামান কিছু রোগী থাকলেও তাদের এইচডিইউ’র মাধ্যমে আর হাইফ্লো নজল ক্যানুলা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে চিকিৎসকদের। একটি আইসিইউ শয্যা খালি হলেই নিজের রোগীকে ভর্তি করাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন স্বজনরা। কিন্তু সবার ভাগ্যে জুটেনা আইসিইউ। 

চাপ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও কোভিড ফোকাল পার্সন ডা. সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, 'রোগীর চাপ এত বেড়েছে, জায়গা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শয্যার চেয়েও এখন বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে ওয়ার্ডে। হয়তো আরও একশ’ শয্যা বাড়ানো হতে পারে। দ্রুত এ কাজ করা হবে।'

বৃহৎ সরকারি এ হাসপাতালের মতো একই চিত্র চট্টগ্রামের প্রথম কোভিড ডেডিকেটেট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেরও। হাসপাতালে থাকা ১৪০টি শয্যাতেই প্রায় রোগীতে পরিপূর্ণ। ১৮টি আইসিইউ শয্যা থাকলেও রবিবার দুপুর পর্যন্ত একটি শয্যাও খালি নেই। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে সম্প্রতি চালু হওয়া ৫ শয্যার আইসিইউতেও বর্তমানে সবগুলোই রোগী ভর্তি রয়েছে। সাধারণ শয্যার ৫০টিতে ফাঁকা আছে মাত্র ৮টি শয্যা। এ হাসপাতালেও চাপ রয়েছে কোভিড রোগীদের। 

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোভিড ফোকাল পার্সন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুর রব সিভয়েসকে বলেন, 'গেল কিছুদিন ধরেই হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। যাদের বেশিরভাগরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। যাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে, তাদের আইসিইউ’র প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু শয্যা না থাকায় দিতে পারছি না। এখনও যে পরিমাণ রোগী আইসিইউতে আছে, একই পরিমাণ রোগী আইসিইউ’র জন্য অপেক্ষামান। বাধ্য হয়েই তাদের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।'

রোগীদের হঠাৎ চাপ আর অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, 'এখন যে রোগীগুলো আসছে, তাদের লক্ষণগুলো দেখে বুঝা যায়, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ক্রমশ নীরবে ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেন। পরিস্থিতি এমন থাকলে সামনে আরও খারাপ অবস্থার সামনে দাঁড়াতে হবে। তাই সকলকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে।'

আইসিইউ নেই, কিন্তু সাধারণ শয্যা দিয়ে কোভিড রোগীদের সেবা দিয়ে যাওয়া নগরের অন্যতম দুই ফিল্ড হাসপাতাল সিএমপি-বিদ্যানন্দ হাসপাতাল ও আল মানাহিল হাসপাতালের চিত্রও একই। দুই হাসপাতালের কোনটিতেই সাধারণ শয্যা খালি নেই। বরং শয্যার চেয়ে বেশি রোগী আছে হাসপাতাল দুটোতে। এরমধ্যে সিএমপি-বিদ্যানন্দ হাসপাতালে ৭০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ৭১ জন। আর আল মানাহিলে ৪৩ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ৪৫ জন। 

রবিবার দুপরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বেসরকারি হাসপতালগুলোর মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যা ও ৭০টি সাধারণ শয্যা রয়েছে। একটি সাধারণ শয্যা খালি থাকলেও আইসিইউসহ বাকি সব শয্যাতেই রোগী ভর্তি রয়েছে। পার্কভিউ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১২টি। এখানেও সবগুলোতে রোগী ভর্তি আছে। সাধারণ শয্যার ৭০টিও রোগী ভর্তি রয়েছে। ন্যাশনাল হাসপাতালে ৫৪ শয্যার সবগুলোতেও রোগী ভর্তি আছে। তাদের ৮টি আইসিইউ থাকলেও একটিও খালি নেই। চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হাসপাতালের চিত্রও একই। ৭টি আইসিইউর সবগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে। সাধারণ শয্যার ৫৮টিতেই রোগী ভর্তি আছে। মেডিকেল সেন্টার, ম্যাক্স হাসপাতাল, রয়েল হাসপাতালের চিত্রও একই।

বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী সিভয়েসকে বলেন, হঠাৎ করেই প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর ফ্লো বেড়েছে। আমাদের হাসপাতালেও রোগী ভরপুর। বর্তমানে একটি শয্যাও খালি নেই। ১০টি আইসিইউ শয্যা আছে, তাতেও রোগী ভর্তি আছে। কয়েকজন অপেক্ষামান রোগী আছে। কিন্তু শয্যা খালি না থাকায় তাদরে সাপোর্ট দেয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই কেবিনে রেখে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। অন্য হাসপাতালগুলোতেও একই পরিস্থিতি। সবগুলোতেই রোগীর ফ্লো অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে গেল কিছুদিন ধরে এমন নাজুক অবস্থা। 

বেসরকারি পর্যায়ের সবচেয়ে বেশি রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় আগ্রাবাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে। যেখানে সাধারণ শয্যার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। হাসপাতালটিতে ১৪২টি সাধারণ শয্যা ও এইচডিইউ ছাড়াও ২০ টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। অথচ দু-একটি সাধারণ শয্যা খালি থাকতে দেখা গেলেও গত ১৫ দিনের মধ্যে একদিনের জন্য খালি থাকেনি আইসিইউ শয্যা। বরং অপেক্ষামান থাকা মানুষগুলোকেও ঠিকমতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তবুও সংকট মুহূর্তে সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে হাসপাতালটি। রবিবার দুপুর পর্যন্ত আইসিইউতো থাক দূরের কথা একটি সাধারণ শয্যাও খালি নেই হাসপাতালটিতে। 

হাসপাতালের ট্রেজারার ও করোনা ম্যানেজমেন্ট সেলের সেক্রেটারী রেজাউল করিম আজাদ সিভয়েসকে বলেন, 'পরিচিতজন থেকে শুরু করে অনেকেই ফোন করছেন আইসিইউ শয্যার জন্য। কিন্তু আমরা দিতে পারছি না। সাধারণ শয্যাও রোগীদের পরিপূর্ণ। প্রতিদিনই প্রচুর রোগী আসছে। ওয়ার্ডের মধ্যেও বেশ কিছু ক্রিটিক্যাল রোগী আছে। তাদের অনেকের আইসিইউ’র প্রয়োজন। কিন্তু কিছুই করা যাচ্ছে না। তাদের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়েই অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। বেশি প্রয়োজন হলে এইচডিইউতে রাখা হচ্ছে।' 

এদিকে রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বেসরকারি কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও শয্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে নগরের অন্যতম পার্কভিইউ হাসপাতালেও সম্প্রতি নতুন করে আকেরটি কোভিড ইউনিট প্রস্তুত করা হয়। বর্তমানে তাতেও রোগী ভর্তি শুরু করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে আরও ১০ শয্যা বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে দুইটি আইসিইউও বাড়ানো হয় তাতে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ১২টি আইসিইউতে রোগী পূর্ণ ছিল। সাধারণ শয্যার ৭০টিতেও রোগী ভর্তি ছিল।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. এটিএম রেজাউল করিম সিভয়েসকে বলেন, 'রোগীর চাপ এত বেশি, যা এক প্রকার উদ্বেগের। বাধ্য হয়ে আরও শয্যা বাড়াতে হয়েছে। এরপরও অনেকেই ফোন দিচ্ছে, প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীরা ভিড় করছে। আসলেই পরিস্থিতি ভাল নেই।'

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা জানা যায়, গেল দুই সপ্তাহ ধরেই হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। ফলে সাধারণ শয্যা যেমন ফুরিয়ে আসছে, তেমনি আইসিইউ শয্যাতেও নাকাল অবস্থা। চিকিৎসকরাও রোগীর চাপ সামলাতে বরাবরই হিমশিম খাচ্ছেন। 

এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিদ্যমান সময়ে হাসপাতালগুলোতে যেভাবে রোগীর চাপ বাড়তেই আছে। তাতে দেখা যাবে একসময়ে চিকিৎসা সেবাই ভেঙে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। 

জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটি চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, 'যখন দেশে সংক্রমণ শুরু হয়, ওই সময়েই চিকিৎসা সেবাকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা পর্যাপ্ত আইসিইউ, সাধারণ শয্যা কিংবা লোকবল বাড়াতে পারিনি। যখন সংক্রমণ কম ছিল, তখনও উদ্যোগ নিয়ে সবকিছু নতুন করে বরাদ্দ দেয়াসহ কোভিড চিকিৎসা সেবাকে আরও উন্নতি করার দরকার ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। এখন যেভাবে রোগীর চাপ বাড়ছে, দেখা যাবে সামনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ছে।'

চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের সিইও ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া সিভয়েসকে বলেন, 'পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে অবশ্যই শঙ্কা ভর করছে। এটি যদি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা না যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে দাঁড়াবে। তাই যে কোনভাবেই এ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। এ জন্য সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। একই সাথে স্বাস্থ্য বিভাগকেও এ গিয়ে আসতে হবে।'

সার্বিক বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সিভয়েসকে বলেন, 'আমরা আগে থেকেই সকলকে সতর্ক করে আসছি। কিন্তু মানুষ কোন কথাই শুনতে চায়নি। সরকারি বলেন আর বেসরকারি, সবগুলো হাসপাতালেই রোগীর প্রচুর চাপ বেড়েছে। এখন যেভাবে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। তাতে সামনের পরিস্থিতি কী হবে, তা বলা যাচ্ছে না। আমরা বরাবরই ঝুঁকির মধ্যেই আছি। এরপরও যদি সাধারণ মানুষ সচেতন না হয়, তাহলে কিছুই করার থাকবে না।'

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর সিভয়েসকে বলেন, 'পরিস্থিতি খুবই নজুক। ঈদের এক সপ্তাহ আগেই এসব বিবেচনা করে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে শয্যা বাড়ানোর জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিল। তারাও চেষ্টা করছেন। অনেক হাসপাতালেই ইতোমধ্যে শয্যা বাড়িয়েছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে যতই শয্যা বাড়ানো হোক, কোন কাজেই আসবে না। আমাদের অবস্থান থেকে সকলকে সচেতন হতে হবে। বারবার একই কথাই বলে আসছি। আবারও বলছি, সচেতন না হলে খুবই ভয়াভহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।'

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়