Cvoice24.com

রামগড়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ নৌ পরিবহন সচিবের

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১১, ২২ জুন ২০২২
রামগড়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ নৌ পরিবহন সচিবের

আগামী দুই মাসের মধ্যে রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। 

এসময় তিনি বন্দরের অচলাবস্থার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। এছাড়া দু’দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ ভারতীয় হাই কমিশনের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করার আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (২২ জুন) দুপুরে খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাথে স্থলবন্দর চালুর লক্ষে বন্দরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।

বুধবার  নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল রামগড় পৌঁছালে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও রামগড় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হয়। পরে তারা বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানের জমি অধিগ্রহণ ও বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সরোয়ার আলম।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর চেয়ারম্যান মো. আলমগীর জানান, রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামের দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। বন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক সংস্কার হতে শুরে করে একাধিক বড় প্রকল্পের সেতু নির্মাণ হচ্ছে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন হবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আলীমউল্যাহ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মো. ইখতেয়ার উদ্দীন আরাফাত, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল ও রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামানসহ প্রমুখ।


উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন ধরে রামগড়ে থেমে আছে স্থল বন্দরের অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ। অভিযোগ রয়েছে সীমান্তে ভূমি জটিলতা এবং নকশার অনুমোদন না মেলায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখনও পুরোদমে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ । বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এ বছরের ১০ জানুয়ারি ১২৫ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। ২০২৪ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেডকে দায়িত্ব দেয় স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়