Cvoice24.com

স্বাস্থ্যবিধি ভুলে মার্কেটে মানুষের ভিড়, বিধিনিষেধ কাগজে-কলমে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
স্বাস্থ্যবিধি ভুলে মার্কেটে মানুষের ভিড়, বিধিনিষেধ কাগজে-কলমে

কেনাকাটা করতে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়। ছবিঃ সিভয়েস

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তাররোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে, মাস্ক না পরলে জরিমানাসহ গণপরিবহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন এবং হোটেল-রেস্তোরায় বসে খেতে হলে ভ্যাকসিন সনদ দেখাতে হবে। সংক্রমণ রোধে সব ধরনের সভা-সমাবেশ পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে এতো বিধিনিষেধের পরও মার্কেট থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও ফুটপাতে কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। বিশেষ করে চট্টগ্রামের টেরিবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমুন্ডি লেন ও জহুর হকার্স মার্কেটে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। শিশুদের নিয়েও নারীরা কেনাকাটা করতে মার্কেটে ভিড় করেন।

এসব মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। অনেককে মাস্ক না-পরেই কেনাকাটা ও বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। ফলে সরকারের আরোপ করা বিভিন্ন বিধিনিষেধ কার্যকরের ক্ষেত্রে এসব শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। ছবিগুলো আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নগরের নিউমার্কেট ও জহুর হকার্স মার্কেট গলি থেকে তুলেছেন সিভয়েসের নিজস্ব আলোকচিত্রী।

প্রসঙ্গত,  গত ১০ জানুয়ারি করোনা মহামারি প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, জনসাধারণকে অবশ্যই বাড়ি বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো— 

► দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

► অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

► রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।

► ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

► স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু ড্রাইভার থাকতে পারবে। কোনও সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

► ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্ব প্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।

► বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।

► স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

► সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা গ্রহণ করবে।

► উন্মুক্ত স্থানে সর্ব সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

► কোনও এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়