Cvoice24.com

চসিকের লাইব্রেরি হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১০, ৩ এপ্রিল ২০২১
চসিকের লাইব্রেরি হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার

কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। এর আগে শুক্রবার রেকর্ড ছাড়িয়েছিল চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। একদিনেই ৫১৮ জনের করেনা শনাক্ত হয়েছিল। এমন ত্রাহি অবস্থায় ফের আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলার কথা ভাবছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

শনিবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি পাড়স্থ চসিকের নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরি ঘুরে দেখেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীসহ চসিকের কর্মকর্তারা। 

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) থেকে এ আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন হবে। নগরের বুকে লাইব্রেরির অবস্থান, নিরিবিলি পরিবেশ এবং ভবনটির আশপাশে বসতি তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে এখানে আইসোলেশন করার কথা ভাবছে চসিক— জানিয়েছেন চসিকের কর্মকর্তারা।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভবনটির দুই ও তিন তলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কোভিড আইসোশেন সেন্টার গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে চিকিৎসা দেবেন সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, ‘লালদীঘি পাড়ে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ভবনে ৫০ বেডের একটি আইসোলেশন করার চিন্তা ভাবনা করছি আমরা।’ 

আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তাই আমরা এখনই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। রোগী আসলেই ভর্তি করানো হবে।’

এর আগে গত বছরের ২১ জুন নগরের আগ্রবাদ এক্সেস রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছিল চসিকের উদ্যেগে। করোনার ডামাডোল কমে যাওয়ার পরে তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন চসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল— ‘এ সেন্টারে প্রথমত কোভিড-১৯ আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি পর্যায়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর কোনো রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স করে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হবে চসিকের পক্ষ থেকে।’

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়